ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণসহ পাঁচ দফা দাবিতে ঢাকায় সেতু ভবন অভিমুখে লংমার্চটি অষ্টম দিনে পদ্মা সেতুতে পৌঁছেছে। তবে সেতু কর্তৃপক্ষ তাদের হেঁটে পদ্মা পারের অনুমতি দিচ্ছেন না। অনুমতি না পেলে সাঁতরে পদ্মা পার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা থেকে ২০ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শুরু হয় লংমার্চটি।
এদের মধ্যে মো. মাইনুউদ্দিন নামে এক জুলাই যোদ্ধা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা হেঁটে এবং তেতুলিয়া নদী সাঁতরে এখন পর্যন্ত ২৫৫ কিমি. পাড়ি দিয়েছেন। দাবি আদায়ে তারা ঢাকার সেতু ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান করবেন বলে জানান।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ, ভোলার ঘরে ঘরে পাইপলাইনে আবাসিক গ্যাস সংযোগ, গ্যাসভিক্তিক শিল্প কলকারখানা স্থাপন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ।
লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মেহেদী হাসান বলেন, সরকারের উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীলরা আমাদের কথা দিয়েছিল, আগামী ডিসেম্বরে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ শুরু করাসহ আমাদের পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে কাজ করবে, কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখছি না। সম্প্রতি ভোলা সফরে আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩ উপদেষ্টাকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন আমরা ভোলাবাসীসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা।