Image description

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির দেশের প্রবীণ আলেমেদ্বীন আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী-মওদুদীপন্থীরা এদেশের মুসলমানদের ঈমান হারা করতে চায়। এ ব্যাপারে আলেম-ওলামাদের সচেতন থাকতে হবে। রাসূলের (সা.) সাহাবীগণ হচ্ছেন আমাদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। অথচ জামায়াত মওদূদীবাদীরা হযরত ওমরের (রা.) এর মতো অনুসরণীয় এবং উত্তম চরিত্র নিয়ে খারাপ বললে আমাদের কেমন লাগে? তখন এদেরকে গালমন্দ না করলে কাদেরকে করবো? জামায়াতের এক বক্তা আগে বলেছে, "রাসুল (স.) হযরত খাদিজার (রা.) মেষ চড়াতো সে ছিলো রাখাল। আবার একজন বলেছে খাদিজা (রা.) নামাজ রোজা করতেন না। এখন একজন বলতেছে রাসুল (স.) ছিলেন সাংবাদিক। এরা বেঈমানের জাত। মওদুদী জামায়াতীরা মুসলমানদের ঈমানহারা করতে চায়। তাই আলেম-ওলামাদের সচেতন থাকতে হবে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) হাটহাজারী উপজেলায় হাটহাজারী হাইস্কুল মাঠে আল-আমিন সংস্থার উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের প্রথম দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজত আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এসব কথা বলেন।

আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী আরও বলেন, হযরত মোহাম্মদ রাসূলের (সা.) হাতেগড়া সাহাবায়ে কেরামগণ আমাদের জীবন চলার পথে অনুকরণীয় আদর্শ। তাদের জীবনদর্শন আমাদের মুক্তির পথ। কারণ সরল ও সঠিক পথে চলতে পারলেই জান্নাতে যাওয়া যাবে। একথা আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন সূরা ফাতিহায়। সিরাতুল মোস্তাকিম অর্থাৎ সোজা সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন হযরত সাহাবায়ে কেরামগণ। তাই তাদের অনুসরণ করতে পারলে আমাদের জান্নাতের পথ সহজ হবে। অন্যদিকে সাহাবায়ে কেরামগণকে গালি দিলে, তাঁদের সম্পর্কে কটূক্তি করলে কখনও খাঁটি মুসলমান হতে পারবে না। আলেম সমাজের উচিত সাহাবীদের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে আলোচনা করা। নয়তো ইলম গোপন করার অপরাধে কিয়ামতের দিন অভিযুক্ত হতে হবে।

 

মাওলানা রিজওয়ান আরমানের সঞ্চালনায় তাফসীর মাহফিলে ধারাবাহিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা শোয়াইব জমীরী, মুফতী হাবিবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা মোহাম্মদ শফী ও মাওলানা ওসমান সিকদার।

 

বক্তারা পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের তাফসীর করে তথ্যবহুল আলোচনা করে বলেন, আমাদের পরিচয় আমরা মুসলমান। পবিত্র কুরআন আমাদের জীবনবিধান। রাসূল (সা.) ও সাহাবীগণ (রা.) আমাদের জীবনাদর্শ। তাই আমাদের উচিত সরল ও সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া করা।

 

তাফসীর মাহফিলে আরও আলোচনা করেন, আল্লামা কুতুবউদ্দীন নানুপুরী, মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী, মাওলানা রেজাউল করিম আবরার, মাওলানা শোয়াইব আলমপুরী, মাওলানা ইসমাঈল খান, মাওলানা আনোয়ার শাহ আজহারী, মুফতী রাশেদ, মুফতী রাফি বিন মুনির, মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, মাওলানা মোহাম্মদ, মাওলানা এরশাদুল্লাহ প্রমুখ।

 

মাহফিলে দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার তৌহিদী জনতা শামিল হন।