
বরিশালের সদর রোডের অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে নিজ শ্বশুরবাড়ির কক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নেত্রী শারমিন মৌসুমী কেকার (৪২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে ট্রিপল নাইনে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, বিকেল থেকে কেকাকে ঘরে দেখা যাচ্ছিল না। রাতে ঘুম থেকে না উঠায় তার মেয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের জানায়—“মা ঘুম থেকে উঠছেন না।” পরে ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
কেকা ছিলেন ঝালকাঠি জেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে পরিচিত। তার স্বামী হিরন আহমেদ লিটু বরিশাল সদর রোড এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেকার দেহ উদ্ধারের সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার এক কর্মকর্তা জানান, “প্রাথমিকভাবে এটি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরই বলা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।”
তবে নিহতের স্বজনরা দাবি করেছেন, কেকাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। তাদের অভিযোগ, ঘটনার সময় কেকার স্বামী লিটু কক্ষের বাইরে ধারালো রামদা নিয়ে বসেছিলেন।
স্বজনরা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে নগরজুড়ে রহস্যজনক এই মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।