Image description
 

বাড়িভাড়া ভাতা ২০ শতাংশ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পুলিশি বাধায় হাইকোর্ট মাজার গেটে থেমে গেছে। বাধা পেয়ে শিক্ষকরা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামীকাল (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করবেন। এরপর তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেবেন এবং নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ মিছিলটি আটকে দেয়। এর পর থেকেই শিক্ষক ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, “আমরা অবস্থান চালিয়ে যাব। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে যাবেন না। সারাদেশে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রশাসন আজ আমাদের বারবার কর্মসূচি বন্ধ করতে বলেছে, নানা প্রস্তাবও দিয়েছে। কিন্তু আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি—দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পিছু হটার প্রশ্নই আসে না।”

দেলাওয়ার আজিজী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “এই উপদেষ্টার সময় শিক্ষকদের পিটিয়েছে, রক্তাক্ত করেছে, থানায় টেনেছে। তিনি একটি কথাও বলেননি। আমরা তার সঙ্গে কোনো আলোচনা করব না।”

তিনি বলেন, “শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে লিখিতভাবে জানালে যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে, তবেই আমরা শহীদ মিনারে ফিরে যাব। অন্যথায় কর্মসূচি চলবে।”

এর আগে সকালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক শহীদ মিনারে সমবেত হন। মূলত দুপুর ১২টায় ‘মার্চ টু সচিবালয়’ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সময় পরিবর্তন করে বিকেল ৪টা নির্ধারণ করা হয়। এরপর মিছিলটি হাইকোর্টের মাজার গেটে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়।

শিক্ষকদের দাবি মূলত বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানো, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শিক্ষা জাতীয়করণ এবং মর্যাদার সুরক্ষা। তারা গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন এবং এর মধ্যে দেশব্যাপী শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

ইত্তেফাক