Image description
 

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতায় পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে উঠেছে। অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের দিন আয়োজনের কথা বললেও জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান ব্যতিক্রম।

এই দলগুলো জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে গণভোটে জনগণের সিদ্ধান্ত জানার পরই জাতীয় নির্বাচনের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে শক্ত অবস্থানে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। বিশেষ করে গণভোটের আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন অব্যাহত থাকলে স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কঠোর হতে পারেন। সরকারপ্রধান হিসেবে একটি সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্ধারণ করে সরকারের সব পক্ষকে জানিয়ে দেবেন।

সরকারের সঙ্গে যুক্ত একাধিক দায়িত্বশীল বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) পর্যন্ত গণভোটের সময় নিয়ে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে কোনও সমঝোতার আভাস মেলেনি। পাশাপাশি সরকারের নানা পক্ষগুলোও দিনক্ষণ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ সই হওয়ার কথা রয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, কমিশনের পক্ষ থেকে প্রথমে চিঠি দিয়ে সরকারকে দিনক্ষণের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে জনগণের সম্মতি নেওয়ার প্রস্তাব কমিশনের পক্ষ থেকেই এসেছে। এক্ষেত্রে দিনক্ষণের বিষয়ে কমিশন সম্ভাব্য একটি সময় সরকারকে জানানোর কথা। অপরদিকে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও কোনও দিনক্ষণের আভাস দেওয়া হয়নি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ড. বদিউল আলম মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘এখনও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য দেখা যায়নি। গণভোট কবে নাগাদ হতে পারে, এ নিয়ে আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। আলোচনা চলছে সব পক্ষের মধ্যে, এখনও সুনির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গণভোট অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে উভয়পক্ষের যুক্তি আছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হলে রাজনৈতিক দলগুলো সর্বশক্তি নিয়োগ করে সনদের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে পারতো। এক্ষেত্রে জুলাই সনদের প্রতি জনগণের সম্মতি আসার সম্ভাবনা বেশি। যদি নির্বাচনের দিন হয়, সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রতীকের বিজয়ের দিকেই মনোযোগী হবে, ফলে জুলাই সনদের গুরুত্ব হ্রাস পাবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে বৈঠক করে। ওই বৈঠকেও জুলাই সনদের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন নেতারা। তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্যরা জুলাই সনদে গণভোট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। ইতোমধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদসহ দলটির নেতারা নির্বাচনের আগে গণভোটকে ‘জাতীয় নির্বাচন পেছানোর চক্রান্ত’ হিসেবেই চিহ্নিত করছেন।

জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘আমাদের কমিটিতে এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। জুলাই সনদে যে যে দল যা প্রস্তাব করেছে, তা উল্লেখ থাকতে হবে। আমরা চাই, যেদিন জাতীয় নির্বাচন হবে সেদিনই জুলাই সনদের ওপর মানুষের মতামত বা গণভোট নিতে হবে। বিএনপি এটাই মনে করে।’’

জুলাই জাতীয় সনদের স্বীকৃতি আনতে গণভোটের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির একটি প্রসঙ্গ রয়েছে বলে মনে করেন কমিশনের একজন সদস্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আগে গণভোট করতে সক্ষম কিনা, এই প্রশ্নও রয়েছে।’’ 

তবে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না মনে করেন, গণভোট নির্বাচনের জন্য দু-আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের যে তথ্য সামনে আসছে, তা বড় কোনও অঙ্ক নয়। এই খরচ বহনে সক্ষম সরকার ও নির্বাচন কমিশন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একজন সদস্য উল্লেখ করেছেন, শুক্রবারের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট করার বিষয়ে দিনক্ষণ নির্ধারণের কোনও সম্ভাবনা এখনও দেখা যাচ্ছে না। তিনি আশা করেন, শুক্রবারের মধ্যে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গেলে ভালো। কিন্তু প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল।

তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলো খুব ছোট ছোট বিষয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে বড় বিপদ ডেকে আনছে।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের একজন সদস্যের পর্যবেক্ষণ—পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে। ঘটনা অন্য কোথাও। এর পেছনে একটি ধর্মভিত্তিক দলের ভূমিকা রয়েছে। কারণ জাতীয় নির্বাচন পেছালে তাদের সুবিধা হবে।

জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের একটাই লক্ষ্য, সেটা হচ্ছে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা। এখানে আর কিছু নাই, বিলম্বিত করার চেষ্টা ছাড়া। আমরা তো প্রকৃতপক্ষে এ বিষয়ে (জুলাই সনদ) গণভোটে রাজি ছিলাম না, কিন্তু গ্রেটার ইউনিটির জন্য আমরা একমত হয়েছি যে নির্বাচনের দিন গণভোট হলে আমাদের আপত্তি নেই।’’

‘‘এখন ইউনিটি তো কীসের ইউনিটি হচ্ছে এটা? আমরা এটাতে রাজি হয়েছি গ্রেটার ইউনিটির স্বার্থে, জুলাই সনদের স্বার্থে,’’ বলেন মির্জা ফখরুল।

এক্ষেত্রে সরকার তাদের মতো সিদ্ধান্ত দিতে পারে কিনা, এমন প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘‘সরকার নিয়ে নিলেও আমরা যদি দেখি আমাদের মতো হচ্ছে না, তাহলে ওই নির্বাচনে (গণভোটে) যাবো না।’’

গণভোটের দিনক্ষণ নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের বিরোধ সরকারকে কঠোর হতে বাধ্য করছে কিনা—এ ব্যাপারে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘সরকার তো এর থেকে আরও সহজ অবস্থানেও আসতে পারে। নেগেটিভটা ভাবেন কেন, আমরা তো পজিটিভ ভাবি। রাজনৈতিক নেতারা ঐকমত্য হলে সবকিছুই সম্ভব।’’

‘‘একদিনে হলে ভালো, তারা যেমন বলছে, আগে বলুক, আগে হলে ক্ষতি কী’’, এমন প্রশ্ন রাখেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।

তার ব্যাখ্যা, ‘‘সব অ্যারেঞ্জমেন্টে করা—এখানে কোনও ক্যাম্পেইন নাই, কোনও পোস্টার নাই, কোনও পার্টি নাই, একটা ব্যালটে মাত্র... স্টাবলিশমেন্ট ইজ দেয়ার যে এখানে কোনটা ‘হ্যাঁ’ হলো, কোনটা ‘না’ হলো—তার ভিত্তিতেই মানুষের মধ্যে একটা কনসাশনেস হলো। ভোটের আগেই এটা মানুষকে বুঝতে হবে। মানুষের মতামত, জনমতের প্রতিফলন ঘটবে। তার ভিত্তিতেই পরবর্তী সংসদ নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব হবে’’- বলছিলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার।

তিনি বলেন, ‘‘একদিনে হলে তো ভোটের ব্যালট কী হচ্ছে, গণভোটের ব্যালটে কী হচ্ছে—এটা কেউ বুঝতে পারছে না। একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে আমি যাচ্ছি—সংস্কার প্রস্তাবনার পজিশনের কী হলো। এ জন্য একটা ক্রিটিক্যাল অবস্থা থেকে বাঁচার জন্য গণভোট আগে হওয়া দরকার।’’

জামায়াতের অন্যতম এই নেতা বলেন, ‘‘আমাদের ভোটের ইতিহাস বলছে—সাধারণ একটা ব্যাপার, ভোটকেন্দ্রে একটা ঝামেলা হয়। ভোট কাটাকাটি হয়, ইলেকশন স্থগিত হয়।  এমন ঘটনা ঘটেনি এমন কোনও নির্বাচন নাই। বেশি হোক, কম হোক হয়েছে তো। এখন যদি একদিনে হয়, হঠাৎ করে পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ হয়ে গেলো, তাহলে আমার গণভোটের দশাটা কী হলো। ওখানে কি আবার গণভোটের পুনর্নির্বাচন হবে, নাকি শুধু জাতীয় নির্বাচন হবে? এসব টেকনিক্যাল ঝামেলা এড়ানোর জন্য আমরা বলেছি— বিফোর ইলেকশন গণভোট নেওয়া হোক শান্তিপূর্ণভাবে।’’

‘‘শুধু একজন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিত্বের ইগোকে প্রাধান্য দেবেন, না জনস্বার্থ, জনআকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দেবেন—এটা হচ্ছে মূল ম্যাটার। এটা খেয়াল রাখতে হবে’’ বলে মন্তব্য করেন মিয়া গোলাম পরওয়ার।

‘‘এজন্য আপনি যেমন বলছিলেন, পরিস্থিতি কঠিন দিকে চলে যাচ্ছে কিনা। তো কঠিন দিকে কে নিচ্ছে। হু ইজ রেসপনসিবল ফর দিজ। ভাবতে হবে যে সহজ দিকেও তো ওনারা যেতে পারেন যে—ঠিক আছে, আসেন রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে ডায়লগ করি, ছোট বডিতে আমরা বসি, আমরা কনভিন্স করি আমাদের যুক্তি দেই, তারা তাদের যুক্তি দিক। শুধু কিছু দল বললো বলেই আমাকে ইগো করে আমি যা বলেছি, এখান থেকে সরতে পারবো না—এটা তো পলিটিক্স না। এটা তো গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হতে পারে না’’- যোগ করেন গোলাম পরওয়ার।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘‘এজন্য আমরা বলছি, আমাদের কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে—মানুষের মধ্যে এই উপলব্ধি জাগুক। সরকার প্রধান নিজেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের হেড ড. ইউনূস সাহেব। ওনাকে এই আহ্বান জানাচ্ছি, জনগণকে এই বার্তা দিচ্ছি, আমাদের এই আন্দোলন নিয়মতান্ত্রিক এবং গঠনমূলক। এখানে কোনও হঠকারিতা, কোনও বিশৃঙ্খলা, কোনও ভাঙচুরের আন্দোলন এটা না। রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও সংস্কৃতি মেনে আমরা কর্মসূচি করছি। ফলে এই আন্দোলন রাজনীতির অংশ। নেগেটিভলি অনেকে বলেন ‘এটা ইলেকশন পেছানোর অংশ। না ! এটা আরেকটা মিসপ্রোপাগান্ডা ।’

গণতন্ত্র মঞ্চের একজন এই প্রতিবেদকের কাছে ব্যাখ্যা করেন, অনেকে মনে করে গণভোট আগে হলে নির্বাচন বানচাল হতে পারে। কিন্তু এটা ঠিক, নির্বাচন বানচাল করার শক্তি কারও নাই। এখানে জনগণ নির্বাচনের পক্ষে, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের পক্ষে। জামায়াতও নির্বাচন চায়। তারাও তো নির্বাচনের কাজ করছে। নির্বাচন কেউ বানচাল করতে পারবে না।

বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের একাধিক নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, জুলাই সনদ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান নীরব অবস্থানে রয়েছেন। বিশেষ করে এই মাসে জাতিসংঘ সফর শেষে দেশে ফেরার পর তিনি বিগত সময়ের চেয়ে ‘অনেক বেশি শক্তিশালী অবস্থানে’ রয়েছেন বলে দৃশ্যমান।

‘এই অবস্থা কতখানি শক্তিশালী তা খুব দ্রুত জনগণের সামনে উঠে আসবে’—বলে জানিয়েছেন বিএনপির প্রভাবশালী একজন দায়িত্বশীল। তিনি বলেন, ‘‘ড. ইউনূস জুলাই সনদ নিয়ে গণভোটের বিষয়ে যদি দ্রুততার সঙ্গে প্রজ্ঞাপন জারি করেন, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলো খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে পারবে না। তাকে সহযোগিতার বদলে ভিন্ন কিছু করলে তিনি আরও শক্ত হতে বাধ্য হবেন।’’

এই দায়িত্বশীল বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে জানান, জাতিসংঘ সফরে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর বিষয়ে নোবেলজয়ী সরকারপ্রধানের যে বক্তব্য এসেছে, তা আদতে জামায়াতে ইসলামীকে চাপে রাখার জন্য। ফলে দৃশ্যমান যে তিনি জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট আয়োজনে যদি প্রজ্ঞাপনের পথে হাঁটেন, তাহলে তা শক্ত কিছু দেখার সম্ভাবনাকেই উজ্জ্বল করবে। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধ জনমনে অসুবিধা টেনে আনলে তা নিশ্চিতভাবে জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন এই দায়িত্বশীল।

গণতন্ত্র মঞ্চের প্রভাবশালী এক নেতার ভাষ্য, ‘‘সরকার মানেই তো ড. ইউনূস, তিনি তো কিছু বলার মানুষ না। চুপ করে থাকেন। তিনি প্রজ্ঞাপন দিয়ে দিতে পারেন।’’ এই নেতা মনে করেন, ‘‘জনগণের মধ্যে আছে অফুরন্ত শক্তি, তাকে জাগিয়ে দাও।’’

এ প্রসঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘যা কিছু করা উচিত, তা ঐকমত্যের ভিত্তিতেই করা উচিত।’’

‘‘এখনও (মঙ্গলবার সন্ধ্যায়) সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই সনদের প্রপোজাল পাইনি। আমাকে তো দেখতে হবে প্রপোজালটা কী। এটা পেলে তাদের ইনটেনশন, ম্যাচুরিটি, শঙ্কা, সম্ভাবনা সবই বুঝা যাবে। আগে কাগজ হাতে এলে বলতে পারবো’’ বলে মন্তব্য করেন গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না।

নাগরিক ঐক্যের এই সভাপতি বলেন, ‘‘আমার কাছে নির্বাচনের আগে-পিছের সময় তফাৎ করে না। ভোটের দিন হলে গণভোটের কোনও স্পিরিট থাকবে না, এটা আমি পারসোনালি ওপিনিয়ন দিচ্ছি। কিন্তু আমরা বিএনপির সঙ্গে অবস্থান ব্যক্ত করেছি।’’

উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠেয় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্তত ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। পাশাপাশি কয়েক হাজার অতিথি উপস্থিত থাকবেন বলে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস-সহ সরকারের দায়িত্বশীলরাও থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে।