
চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেছেন বিএনপির সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের পুত্রবধূ তানজিন হামিদ মিতুল। মিতুল বলেছেন, তার বোনের বাসায় গিয়ে চারজন এক লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন।
শনিবার রাতে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)'র হাতিরঝিল থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তাদের মধ্যে যুবদলের সাবেক এক নেতাও রয়েছেন।
হাতিরঝিল থানার ওসি মোহাম্মদ রাজু সোমবার রাত পোনে বারোটার দিকে আমার দেশকে বলেন, মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মিতুলের সঙ্গে হাতিরঝিল থানায় যাওয়া আসিফ আলম গণমাধ্যমকে বলছেন, চারজনের মধ্যে হাবিব হাতিরঝিল থানা যুবদলের সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক। অন্যরাও যুবদল ও বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত। চাঁদাবাজির কারণ হিসেবে আসিফ আলম বলছেন, নিপার স্বামী ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন, নিপাও যুব মহিলা লীগের যুক্ত ছিলেন। কিন্তু প্রায় এক যুগ আগে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি দুই সন্তান নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। তিনি বলেন, তাদের অতীত রাজনৈতিক পরিচয়ের সুযোগ নিয়ে কয়েকজন সেখানে চাঁদাবাজি করতে যান। চাঁদা না দিলে নিপাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে জেলে ভরার হুমকিও দেয় তারা।
মিতুল বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম খন্দকার দেলোয়ারের ছেলে মরহুম খন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলুর স্ত্রী। তার বড় বোনের নাম শারমিন ওয়াদুদ নিপা, যিনি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল ওয়াদুদ খোকনের স্ত্রী। দুই সন্তান নিয়ে মগবাজারে থাকেন নিপা।
এজাহারে যে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন- শাওন (২৫), হাবিব (৩৫), সাজিদ (২২) ও সানি (৩৫)।
এজাহারে বলা হয়, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বোন নিপা ফোনে জানান, তার এক লাখ টাকা প্রয়োজন। ফোন পেয়ে তিনি রাত সোয়া ১১টার দিকে বোনের বাসা মগবাজারের গাবতলায় যান।
সেখানে তিনি অভিযুক্ত চার ব্যক্তিকে নিপার বাসায় দেখতে পান। এত রাতে বাসায় ঢোকার কারণ জানতে চাইলে মিতুলকে আসামি শাওন কোমরে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখান। তারা এক লাখ টাকা দাবি করে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। একপর্যায়ে তাদের কথামতো রাত ১১টা ৫৭ মিনিটে মগবাজারে ব্যাংকের বুথ থেকে ৮০ হাজার টাকা তুলে সানিকে দেওয়া হয়। সঙ্গে দেওয়া হয় ২০ হাজার টাকার একটি চেক।
এজাহারে আরো বলা হয়, আসামিরা আগামী মাসে নিপাকে তার ফ্ল্যাট খালি করে দিতে বলেছে। খালি না করলে নিপা ও তার সন্তানদের ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
খন্দকার দেলোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ ও ঢাকা থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে তিনি মারা যান। তার ছেলে আব্দুল হামিদ ডাবলু মারা যান ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই।