
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা যুদ্ধ অবসানের প্রচেষ্টায় যারা জড়িত তাদের ‘দ্রুত অগ্রসর’ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার পরোক্ষ শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারীদের সোমবারই মিশরে বৈঠকে বসার কথা। যুক্তরাষ্ট্রের ২০-দফার শান্তি পরিকল্পনার মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি ও গাজার শাসন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের হাতে ছেড়ে দেয়ার মতো কিছু অংশ হামাস গ্রহণ করার পর এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
তবে হামাসের প্রতিক্রিয়ায় তাদের নিরস্ত্রীকরণ এবং গাজা শাসনে ভবিষ্যতে তাদের কোনো ভূমিকা না থাকার দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনাকে খুবই সফল উল্লেখ করে ট্রাম্প লিখেছেন: ‘আমাকে বলা হয়েছে প্রথম ধাপ চলতি সপ্তাহেই শেষ হওয়া দরকার এবং আমি সবাইকে বলেছি দ্রুত এগিয়ে যেতে’। তিনি বলেছেন ‘সময়টাই মূল বিষয় নাহলে ব্যাপক রক্তপাত হবে’।
হামাসের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খলিল আল-হায়া, যাকে লক্ষ্য করে গত মাসে কাতারের রাজধানী দোহায় হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল। তিনি রোববার মিশর পৌঁছেছেন। অন্যদিকে, রেডক্রস জানিয়েছে, তারা হামাসের কাছে বন্দি ইসরাইলি জিম্মিদের নিজ দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে, গাজায় ত্রাণ বহনকারী নৌবহর সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ ১৭১ জনকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, তারা নৌবহর থেকে আটক করা ১৭১ জনকে মুক্তি দিয়ে গ্রিস এবং স্লোভাকিয়ায় পাঠিয়েছেন। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে গ্রিস, ইতালি, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, সুইডেন, পোল্যান্ড, জার্মানি, বুলগেরিয়া, লিথুয়ানিয়া, অস্ট্রিয়া, লুক্সেমবার্গ, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, স্লোভাকিয়া, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, সার্বিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা রয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। সূত্র : বিবিসি।