ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই বলেছেন, ‘আমরা সব ক্ষেত্রে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই। ৩০০ বা ৪০০ আসন যাই হোক, সব জায়গায় পিআর পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।’
বুধবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের হোটেল পুস্পদমে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের নব নির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফয়জুল করীম বলেন, ‘পিআর পদ্ধতির নির্বাচন না হলে কোনো অবস্থাতেই পেশীশক্তি ও কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না।
মহিলাদের জন্য সংসদে কোনো সংরক্ষিত আসন চাই না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মহিলাদের জন্য আমরা সাধারণ নির্বাচন চাই।
তিনি বলেন, ‘মহিলাদের অযোগ্য মনে করবেন না। তাদের লড়তে দিন, সংরক্ষিত আসন আমরা চাই না।
তড়িঘড়ি করে নির্বাচন প্রসঙ্গে সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, ‘সংস্কারের পূর্বে কোনো নির্বাচন দেওয়া হলে সে নির্বাচন ব্যর্থ হবে। ছাত্র জনতা ও আমরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাস্তায় ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। আমাদের রক্ত ও ত্যাগের ওপরে ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশ থেকে হটতে বাধ্য হলেও এখন আবার নব্য ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশকে দখল করেছে।
শায়েখে চরমোনাই বলেন, ‘লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দিলে সে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। মানুষ আবারো ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনে সকল ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। যেখানে পেশীশক্তি থাকবে না। কালো টাকার ছড়াছড়ি থাকবে না। ভোটাররা যাতে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন এমন পরিবেশ চাই।’
বিগত সরকার সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে উল্লেখ করে ফয়জুল করীম বলেন, ‘এগুলোকে সচল করার মতো কার্যকরী সংস্কার চাই। ফ্যাসিস্ট আমলে বিচার বিভাগে কেউ কেউ খালাস তো দূরের কথা জামিনও পায়নি। এখন এমন কি হলো? ফ্যাসিস্ট যাবার সাথে সাথে বড় বড় মামলা নিষ্পত্তি হয়ে গেলো। সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। তার অর্থ হচ্ছে বিচার বিভাগে স্বাধীনতা নাই। এজন্য আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা চাই।’
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব কে এম বিল্লাল হোসেনের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবির, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান ও সহ-সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল।