
লোহাগাড়ায় মো. ফারুক নামে এক যুবদল নেতাকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে অপহরণ করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে।
এরপর বিকাল ৪টার দিকে ৯৯৯-এ ফোন কলের পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ফারুক বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর পূর্ব চাম্বি এলাকার মৃত শফিক মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি।
ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে লোহাগাড়া বটতলি স্টেশন এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগীর পরিবার। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফারুকের ছেলে ফয়সাল উদ্দিন।
তিনি অভিযোগ করেন, তার দাদা শহিদ মিয়া অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ছাড়পত্র নিয়ে বিল পরিশোধ করার পরপরই এনসিপি লোহাগাড়ার প্রধান সমন্বয়ক জহির উদ্দিনের নেতৃত্বে ৮-১০ জন মিলে তার বাবাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন এবং ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করে ফেসবুকে লাইভ প্রচার করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরোধিতা ও এ সংক্রান্ত মামলার জেরে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
অভিযুক্ত এনসিপি নেতা জহির উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানার পরই পুলিশকে অবহিত করি। রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’
থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান বলেন, ৯৯৯ থেকে কল পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।