Image description

সময়টা মোটেও ভাল যাচ্ছে না দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি কিম হিওন কি’র। ঘুষ নেওয়া ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ইতিমধ্যেই জেলে ঠাঁই হয়েছে। এবার তাঁকে দেওয়া মাস্টার্স ডিগ্রি (এম এ ডিগ্রি) বাতিল করল একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তার জেরেই বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) কিম হিওন কি’র শিক্ষকতার লাইসেন্স বাতিল করেছে সিওল মেট্রোপলিটান অফিস অব এডুকেশন (এসএমওই)। অযোগ্য শিক্ষক হিসাবে ঘোষিত করা হয়েছে দেশের প্রাক্তন ফার্স্ট লেডিকে।

 

দক্ষিণ কোরিয়ার ‘ইয়োনোপ নিউজ এজেন্সি’-র প্রতিবেদন অনুসারে, গত জুন মাসে সিওলের সুকমিউং মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় থিসিস চুরির কারণে তাদের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ এডুকেশন থেকে অর্জিত কিম হিওন কি’র স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বাতিল করে। তিনি শিক্ষায় তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রির উপর ভিত্তি করে তার শিক্ষকতার সার্টিফিকেট অর্জন করেছিলেন।

 

গত ১২ অগস্ট দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি কিমকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ডয়েচ মোটর্স নামে বিএমডব্লিউ ডিলারের শেয়ারমূল্য কারসাজির মাধ্যমে ৮০০ মিলিয়ন ইওন (কোরিয়ান মুদ্রা) অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। পাশাপাশি তিনি বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চ থেকে ব্যবসায়িক সুবিধা পাওয়ার বিনিময়ে দুটি শ্যানেল ব্যাগ ও একটি হিরের নেকলেস ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এছাড়া ২০২২ সালের সংসদীয় উপনির্বাচন এবং গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপও করেছিলেন।

 

যদিও আদালতে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি। তবে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। আদালতের নির্দেশে কিম হিউন কি-কে সিওলের নাম্বু ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য বন্দিদের সঙ্গেই রাত কাটাতে হয় তাঁকে। তবে হাই প্রোফাইল আসামি বলে কিমকে শোয়ার জন্য একটি মোটা গদি দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি বেশ কিছু বাড়তি সুবিধাও পাচ্ছেন তিনি।

 

উল্লেখ্য, গত বছর ক্ষমতা ধরে রাখতে সামরিক আইন প্রয়োগের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। একই সঙ্গে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও প্রাক্তন ফার্স্ট লেডির গ্রেফতার হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে নজিরবিহীন।