
১৯২১ সালে যাত্রা শুরু করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজ ১০৪ বছরের প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার তিন বছর পর, ১৯২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচন।
দীর্ঘ এই শতবর্ষে ডাকসুর নির্বাচন হয়েছে মাত্র ৩৭ বার। আর স্বাধীন বাংলাদেশে গত ৫৪ বছরে অনুষ্ঠিত হয়েছে মাত্র সাতবার। শুরুর দিকে ডাকসু ও হল সংসদের মূল কার্যক্রম ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সাহিত্যচর্চা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা, খেলাধুলা ও বিভিন্ন সামাজিক সেবা। ১৯৫০-এর দশক পর্যন্তও এ ধারা বজায় ছিল। তবে ষাটের দশকে শিক্ষা আন্দোলন, আইয়ুব বিরোধী সংগ্রাম ও ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র সংসদ ও সংগঠনগুলো ক্রমশ জাতীয় রাজনীতির অংশ হয়ে ওঠে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদকে (ডাকসু) ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে ‘দ্বিতীয় সংসদ’ বলা হয়। ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা দাবি, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান কিংবা নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন— প্রতিটি জাতীয় সংগ্রামে ডাকসু নেতৃত্ব দিয়েছে, দিক নির্দেশনা দিয়েছে দেশের রাজনীতিকে।
প্রথমদিকে ডাকসুতে ভিপি ও জিএস নির্বাচিত হতেন হলে হলে ছাত্রদের ভোটে। পরে ১৯৭০ সালে সরাসরি ভোটব্যবস্থা চালু হয়। শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভোট দিয়ে ডাকসুর ভিপি ও জিএসসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্বাচিত করতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে ডাকসু নির্বাচনে সরকারগুলোর মধ্যে অনীহা দেখা যায়। ১৯৭২ সালের নির্বাচনে সহ-সভাপতি হন ছাত্র ইউনিয়নের মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক হন মাহবুবুর জামান। কিন্তু এর পর নির্বাচনের ধারাবাহিকতা ভেঙে যায়। ১৯৯১ সালের পর থেকে দীর্ঘ প্রায় তিন দশক ডাকসু নির্বাচন একেবারে বন্ধ থাকে।
একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ১৯৯৪, ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ এবং পরে এ কে আজাদ চৌধুরী তফসিল ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু ছাত্রসংগঠনগুলোর বিরোধিতা ও সহিংসতার কারণে ভোট হয়নি। ২০০৫ সালেও তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন আটকে যায়। ২০১২ সালে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলেও সাড়া মেলেনি।
প্রায় তিন দশক পর ২০১৯ সালে হাইকোর্টের নির্দেশে ডাকসু নির্বাচন হয়। সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নুর সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন, আর সাধারণ সম্পাদক হন ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) গোলাম রাব্বানী। তবে ব্যাপক অনিয়ম ও সহিংসতার কারণে সেই নির্বাচনকে বিতর্কিত মনে করা হয়।
এবারের ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে এমন এক প্রেক্ষাপটে, যখন শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সাম্প্রতিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। ফলে এই নির্বাচনকে ঘিরে রয়েছে বিশেষ প্রত্যাশা। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভোট হবে ডাকসু ও হল সংসদের। এবার ২৮টি পদের বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৫০৯টি। জানা গেছে, অন্তত ৯টি প্যানেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক প্যানেল ৭টি এবং স্বতন্ত্র দুটি।
ডাকসু থেকে উঠে আসা অনেক ছাত্রনেতা পরবর্তীতে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন। আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে তাই নানা আলোচনা ও জল্পনা তৈরি হয়েছে— বিশেষ করে এটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা, সেটিই এখন আলোচনার বিষয়।
এবারের ডাকসু নির্বাচন নিয়ে অনেকেই মনে করছেন, যদি এতে গত বছরের ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা প্রতিফলিত হয় তবে এর প্রভাব আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পড়তে পারে। কারণ ইতিহাসে দেখা গেছে, ডাকসু দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তবে সরাসরি প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে আগে কখনো স্পষ্টভাবে দেখা যায়নি। বরং বড় আন্দোলন ও রাজনৈতিক ধাক্কায় ডাকসুর ভূমিকা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ডাকসুর রাজনৈতিক গুরুত্ব থাকলেও এবারের নির্বাচনের ফল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তেমন কোনো সরাসরি প্রভাব ফেলবে না।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেন, ছাত্র রাজনীতিতে ডাকসুর গুরুত্ব সবসময়ই বিশেষ ছিল, যা জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে। ডাকসুকে ‘মিনি পার্লামেন্ট’ বলেও অভিহিত করা হতো। এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ার আন্দোলন, সামরিক ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ নানা জাতীয় সংগ্রামে ডাকসু ছিল অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী সংগঠন। একসময় ডাকসুকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক হিসেবেও দেখা হতো। ফলে ডাকসু হয়ে উঠেছিল দেশের সব ছাত্রের আবেগ, অনুভূতি আর প্রতিবাদের এক সম্মিলিত প্রতিচ্ছবি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক স্বার্থে শুধু ডাকসুই নয়, দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদের নির্বাচনও বন্ধ করে রাখা হয়। এর ফলে ছাত্র রাজনীতিতে গণতন্ত্র চর্চার জায়গায় একটি শূন্যতা তৈরি হয়, যার প্রভাব এখনো অনুভূত হয়।
এই প্রেক্ষাপটে এবারের ডাকসু নির্বাচনকে অনেকেই তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন। কারণ, গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে, আর ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিও চলছে। এমন রাজনৈতিক পরিবেশেই ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরাসরি জাতীয় নির্বাচনে এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি নেই। অতীতেও দেখা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলে ডাকসুর প্রভাব তেমন কার্যকর হয়নি। কিন্তু গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে ডাকসুর প্রভাব সবসময়ই ছিল, এবং আগামীতেও সেই ভূমিকা অব্যাহত থাকবে, এমনটাই প্রত্যাশা করছেন তারা।
স্বাধীনতার আগে পাকিস্তানি সামরিক ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ডাকসু নেতারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে ডাকসুর অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতাতেই মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয় এবং শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জিত হয়। স্বাধীনতার পরও দেশের বিভিন্ন সময়ে সামরিক ও স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ডাকসুর ভূমিকা অনস্বীকার্য ছিল। বিশেষ করে আশির দশকে এরশাদের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ডাকসু বড় ভূমিকা রাখে। এমনকি নব্বইয়ের দশকের ছাত্র গণআন্দোলন এবং এরশাদের পতনেও ডাকসু ছিল অন্যতম শক্তিশালী চালিকাশক্তি।
ডাকসু নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনে এর প্রভাব সম্পর্কে প্রশ্ন করলে সংগঠনটির সাবেক ভিপি ও বর্তমানে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বাংলানিউজকে বলেন, এবারের ডাকসু নির্বাচনের প্রত্যাশাটা অনেক বড়। ভোট কেমন হবে, নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা প্রত্যাশা অনুযায়ী ভোট দিয়ে আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবে কিনা, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। নির্বাচন হচ্ছে বলা যায় অরাজনৈতিক, সংগঠনের নামে করা যাচ্ছে না। যারা বা যে সংগঠনগুলো রাজনীতিতে ভূমিকা রাখে বা রাখবে তারা এই নির্বাচনে তারা সুবিধা করতে পারবে কিনা সেটা একটা দেখার বিষয়। গত বছরের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়িত হতে পারবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় কাটছে না। তবে এবারের ডাকসু নির্বাচনে যদি সেই আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হয় তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে এর ফলাফল প্রভাব ফেলতে পারে বলে।
তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন। তার মতে, এই নির্বাচন আরও কিছু সময় পরে হলে ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের সংগঠনকে গুছিয়ে নিতে পারত। কারণ, অনেক দিন ছাত্র রাজনীতির ওপরে এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা ছিল।
বাংলানিউজকে তিনি আরও বলেন, অনেকদিন পর ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে, আমি এটিকে স্বাগত জানাই। ডাকসু নির্বাচন ছাত্র রাজনীতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব তৈরি করে। সে প্রভাব জাতীয় রাজনীতির ওপরও পরে। ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় নির্বাচনের ওপর প্রভাব ফেলে না। এবারের ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলও আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মুশতাক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় নির্বাচনের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। বরং ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ছাত্র রাজনীতির ওপর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। অতীতেও জাতীয় নির্বাচনের ওপর ডাকসুর ফলাফল এমন কোনো প্রভাব বিস্তার করেনি। সেটা হলে স্বাধীনতার পর প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচিত হয়েছে। তারপর জাসদ ছাত্রলীগ নির্বাচিত হয়েছে, বাসদ ছাত্রলীগ নির্বাচিত হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব পড়লে তো জাসদ অনেক বড় দল হতে পারত, সেটা তো হয়নি। নির্বাচন কেমন হবে সেটা তো এখনই বোঝা যাচ্ছে না। তবে এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ঢালাওভাবে দলীয় লেজুড়বৃত্তির পরিবর্তে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ যাতে ঘটতে পারে সেই প্রত্যাশা করছি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রভাবশালী নেতা আমানউল্লাহ আমান তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন ছাত্ররাজনীতি থেকে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগদানের মাধ্যমে মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের প্রার্থী হিসেবে তিনি সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন। এই পদে থেকে তিনি ক্যাম্পাস রাজনীতির পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় আসেন।
পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে তিনি ঢাকা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি সরকার গঠন করলে তাকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে তিনি প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় যুক্ত হন। দলীয় সংগঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আমান। বিএনপির ঢাকা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি সংগঠনের তৃণমূলকে শক্তিশালী করেন। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করার পর তাকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ডাকসুর এবারের নির্বাচন সম্পর্কে কথা হলে আমান বাংলানিউজকে বলেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে ডাকসু সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন- প্রতিটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে ডাকসুর নেতৃত্ব জাতিকে পথ দেখিয়েছে। অতীতে ডাকসুর নির্বাচিত নেতারা জাতীয় রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে জনমত গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে ডাকসুর ঐতিহ্য এখনো প্রভাব বিস্তার করে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন ঘিরে তরুণদের মতামত ও অংশগ্রহণ একটি বড় ফ্যাক্টর, আর ডাকসুর অতীত ইতিহাসই তাদের অনুপ্রাণিত করে বলে আমি মনে করি। এবার যে আনন্দঘন পরিবেশে সবাই নির্বাচনের প্রচারণা চালাচ্ছে, তরুণদের এই সক্রিয়তা জাতীয় নির্বাচনের গতিপথে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেই আশা করা যায়।