
ফিলিস্তিনের গাজায় অব্যাহত যুদ্ধের কারণে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিজ দেশেই তীব্র জনরোষের মুখে পড়েছেন। একসময়ের জনপ্রিয় এই নেতা এখন জনতার ক্ষোভে ভিলেন বনে যাচ্ছেন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর সরকারি বাসভবনের কাছাকাছি বিক্ষোভকারীরা আবর্জনার স্তুপে আগুন ধরিয়ে দেয়। সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম জানায়, তেলআবিব থেকে আসা শত শত বিক্ষোভকারীর সঙ্গে দেশটির বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও অংশ নেন। তাদের স্লোগান একটাই— “যুদ্ধ বন্ধ করো, বন্দিদের ফিরিয়ে আনো।”
এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হামাসের হাতে বন্দি হওয়া ইসরাইলিদের পরিবার ও সমর্থকরা। “ডে অফ ডিসরাপশন” নামের এই কর্মসূচির আওতায় বিক্ষোভকারীরা জেরুজালেমের গাজা স্ট্রিটে তাবু ফেলে অবস্থান নিয়েছে। নেতানিয়াহুর সরকারি বাসভবন থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে আগুন লাগার ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।
এখন পর্যন্ত হামাস ২৫ জন বন্দিকে জীবিত মুক্তি দিলেও আরও ৪৮ জন এখনো আটক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তাদের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ জন জীবিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বজনরা যুদ্ধ থামিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে প্রিয়জনদের ফেরানোর দাবি জানালেও, উল্টো নেতানিয়াহুর নির্দেশে সেনারা গাজায় হামলা জোরদার করছে। ফলে বন্দিদের জীবিত ফেরার আশা ক্রমেই ক্ষীণ হচ্ছে।
বিক্ষোভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। আগামী শনিবার ইসরাইলি পার্লামেন্ট ভবন ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তেলআবিবের প্যারিস্কোয়ারে অনুষ্ঠিতব্য বৃহৎ সমাবেশে সমর্থন জানিয়েছে উইক্স, ফাইবারসহ একাধিক হাইটেক কোম্পানি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেরুজালেমের প্রবেশপথ ও মহাসড়কগুলোতে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।