Image description
ফেক আইডি থেকে ধারাবাহিক অপপ্রচার

দেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বগুড়ার অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে ধারাবাহিক অপপ্রচার।

শুরুর দিকে বিষয়টি উপেক্ষা করলেও এখন দলের শীর্ষ নেতারা আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ ফেক আইডির মাধ্যমে মূলত জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো, দলীয় ভেতরে গোলযোগ তৈরি করা এবং নেতা-কর্মীদের মধ্যে সন্দেহ, অবিশ্বাস ও অস্বস্তি সৃষ্টি করাই এর উদ্দেশ্য। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মনোযোগ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে বলে তারা মনে করেন।

অপপ্রচারের মূল লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাদশা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া-৪ আসনের সাবেক এমপি মোশাররফ হোসেন, সহ-সভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম এবং শহর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু।

এছাড়া বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন এবং মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক সাংবাদিক কালাম আজাদকেও বিদ্রুপাত্মক কল্পকাহিনি বানিয়ে প্রচার করা হচ্ছে।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসন্ন নির্বাচনে এসব নেতারা সম্ভাব্য প্রার্থী কিংবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবেন। তাই তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্যই এ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা চরিত্রগতভাবে সহনশীল। সেই সহনশীলতাকেই দুর্বলতা ভেবে ফেক আইডি থেকে সীমাহীন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। নির্বাচনের আগে এই অপপ্রচার শালীনতার সীমা অতিক্রম করেছে।তিনি এ বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান এবং আইটি সেকশনকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন জানান, অভিযোগগুলোতে ন্যূনতম সত্যতা থাকলে ফেক আইডি থেকে অপপ্রচার চালানোর প্রয়োজন হতো না। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো আমাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়েও জঘন্য অপপ্রচার করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত অবমাননাকর। নেতারা জানান, নিজেদের মান-সম্মান ও দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খতিয়ে দেখছে।