Image description
 

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি ঘোষণার অভিযোগ উঠেছে।

 

সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল থেকে উপজেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি প্রকাশ করেন। এ নিয়ে দেবীগঞ্জের ছাত্র রাজনীতিতে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

 

জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট পঞ্চগড় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তারেকুজ্জামান তারেক ও সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান জাপান জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটি অনুমোদন দেন। এরই ধারাবাহিকতায় দেবীগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ সৈকতকে সভাপতি এবং নাজমুল হুদা রাহাত সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৬ সদস্যের একটি কমিটি দেয়া হয়।

তবে ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পেজ থেকে কমিটির অনুমোদনপত্র প্রকাশ হলে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে।

 

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে দেবীগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ জানান।

 

নতুন কমিটির সভাপতি দায়িত্ব পাওয়া খালিদ মাহমুদ সৈকতের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তিনি তার ফেসবুক আইডি থেকে লিখেছেন, ‘জেলা ছাত্রদলের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এই ভুয়া কমিটি মানি না। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কাছে এই জালিয়াতের বিচার চাই।’

 

এ বিষয়ে কলেজ শাখা ছাত্রদলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, আমাদের কমিটি জেলা ছাত্রদল অনুমোদন করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেটি প্রকাশ না করে স্বাক্ষর স্ক্যান করে অন্য কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এবিষয়ে কেন্দ্রে জানানো হয়েছে।

 

অন্যদিকে কমিটির নতুন সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা রাহাত সরকার বলেন, যেহেতু কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ভেরিফাইড পেইজ থেকে কমিটি প্রকাশিত হয়েছে, তাহলে জালিয়াতি হলো কীভাবে? এটাই প্রশ্ন।

 

স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে জানতে চাইলে পঞ্চগড় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তারেকুজ্জামান তারেক বলেন, ৩৮টি কমিটিতে আমরা সই করেছি। তবে কিছু কমিটি নিয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেয়। এই বিষয়ে দুই ঘণ্টা পরে বিস্তারিত জানতে পারব। আপাতত কিছু বলছি না, আগে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলি।