Image description
একীভূত হতে চায় না এক্সিম, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকেও গভর্নরকে নয় শেয়ারধারীর চিঠি

স্বৈরাচার হাসিনা সরকার এবং আবদুর রউফ তালুকদার গভর্নর থাকার সময় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বলগুলোর একীভ‚ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। প্রথমে পদ্মা ব্যাংককে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়। এক্সিম-পদ্মা ব্যাংক সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষর করে। তাছাড়া, সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক-এই ছয় সরকারি ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয় ওই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে, সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)- একীভূত করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আলোচনা শেষ পর্যায়ে ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি আর বাস্তবায়ন করা যায়নি। তা ছাড়া প্রশ্নবিদ্ধ ছিল তখনকার একীভ‚ত করার পদ্ধতিও। কারন ওই সময়ে একীভ‚ত করার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মার্জার করা হবে এরকম ব্যাংকগুলোকে চাপিয়ে দেওয়া হয়। যে কারণে পরে আর একীভ‚তকরণ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার স¤প্রতি রেজুলেশন অর্ডিন্যান্স অ্যাক্ট-২০২৫ প্রণয়ন করেছে। এর মাধ্যমে যেকোনো ব্যাংক টেকওভার করতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক অবসায়ন, মার্জারসহ যেকোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার একক ক্ষমতা নিয়ে আসা হয়েছে।

যদিও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা দেশ ছাড়লে নতুন গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পরই বলেছেন, আমরা আশা করি না- কোনও ব্যাংক দেউলিয়া হোক। তবে কমপক্ষে ১০টা ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার মতো খারাপ অবস্থায় চলে গেছে। ব্যাংকগুলোর নাম না বললেও প্রায় এক ডজন ব্যাংক এরপর থেকে খারাপ পরিস্তিতির মধ্যে পড়ে। গ্রাহকরা আমানত উত্তোলন করে নেয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, গ্রাহকদের পাঁচ হাজার টাকাও দিতে পারছে না। পরিস্থিতি আরো খারাপ হয় যখন ছয় ব্যাংকের একীভ‚ত করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই ব্যাংকগুলো থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলে ব্যাংকগুলো। এখন ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা বেতন পর্যন্ত তুলতে পারছেন না।

আগের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার নিয়ম না মেনে ব্যাংক একীভ‚ত করার প্রক্রিয়ায় হাত দিয়েছিলেন। পাশাপাশি ইচ্ছেমাফিক ব্যাংক নির্ধারণ করায় ওই সময়ে ব্যাংকগুলো বিপাকে পড়ে। একইভাবে বর্তমান গভর্নরও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাংকগুলো নিয়ে অমূলক বক্তব্য এবং পরবর্তীতে যে ব্যাংক মার্জারে বা একীভ‚তকরণে ইচ্ছুক নয় তাদেরকেও বাধ্য করছেন। যার ফলাফল আবারও বিপাকে ব্যাংকগুলো। প্রথম ধাপে পাঁচটি ব্যাংককে মার্জারের আওতায় নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে একটি নাম নির্ধারণ করা হবে। তবে, আইনি খসড়া প্রস্তুত হলেও, নাম চ‚ড়ান্ত করতে পারেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে নতুন ব্রিজ ব্যাংকের কার্যক্রম চলবে দুই বছর। যাতে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দিবে সরকার। প্রথম ধাপে একীভ‚ত করা হবে শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংক। ধারণা করা হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে দরকার হতে পারে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। যদিও এসব চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

একই সঙ্গে নতুন করে এবি, ন্যাশনাল ও আইএফআইসি ব্যাংককে একীভ‚ত করা হবে বলেও নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে এই ব্যাংকগুলোরও অডিট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিকে পাঁচ ইসলামী ব্যাংককে একীভ‚তকরণ প্রক্রিয়ায় আগে থেকেই রাজি নয় এক্সিম ব্যাংক। এর আগে ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংক এই প্রক্রিয়ায় আসতে না চাইলেও এখন বাধ্য হয়েছে আসতে। অপরদিকে নতুন করে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের নয় শেয়ারহোল্ডার একীভ‚তকরণ প্রক্রিয়া থেকে ব্যাংককে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক মো. রেজাউল হকসহ নয়জন শেয়ারধারী গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও অর্থ বিভাগের সচিবের কাছে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ অবশ্য বলেছেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে এমনভাবে একীভ‚ত করা হবে, কোনোভাবেই যেন আমানতকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একীভ‚ত হওয়া ব্যাংকগুলোর নাম আপাতত ঘোষণা না করতেও নির্দেশনা দিয়েছেন উপদেষ্টা। এছাড়া একীভ‚ত করতে কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন সে বিষয়েও পরিকল্পনা করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চাপিয়ে দেওয়া মার্জারে আর্থিকখাত বা ব্যাংকখাত স্বাভাবিক হবে না। এ জন্য সরকারের নানামুখী সেবাগুলো যেমন- বিদ্যুৎ-গ্যাস বিল, ভ‚মি রেজিস্ট্রেশনের বিল, পাসপোর্ট সংক্রান্ত সেবার কাজ এবং যে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের টাকা গচ্ছিত আছে তা এসব দুর্বল ব্যাংককে সহায়তায় ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ব্যাংককে বাঁচানো সম্ভব। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আর্থিক দাতা প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন- আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও আইডিবি থেকে অর্থায়ন বা ঋণের টাকা নেওয়া। এই তহবিলের মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংকের পুনর্গঠন বা নিষ্পত্তি কার্যক্রম পরিচালিত করা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহিমদা খাতুন বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ভালোগুলোর সঙ্গে একীভ‚ত করা হয়তো সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে। যদিও বিগত সরকারের আমলে কয়েকটি দুর্বল ব্যাংককে একীভ‚ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তখন বলা হলো এই ব্যাংক ওইটার সঙ্গে একীভ‚ত হবে, অমুক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের সঙ্গে একীভ‚ত হবে। এটি এভাবে ভাগাভাগির বিষয় নয়। সারা বিশ্বেই আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভ‚ত করার সুন্দর প্রক্রিয়া রয়েছে। দুর্বল ব্যাংক ভালো ব্যাংককে অফার করবে একীভ‚ত হতে চেয়ে। এরপর অডিট করে দেখা হবে দুর্বল ব্যাংকের প্রকৃত চিত্র আসলে কেমন। সব দেখে হয়তো ভালো ব্যাংক নিতে আগ্রহী হবে। জোর করে একীভ‚ত করা যায় না। ব্যাংক একীভ‚ত হলে গ্রাহকের টাকার কোনো ক্ষতি হবে না, কিন্তু কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে গ্রাহকের ক্ষতি হবে। অবশ্য বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ম মেনেই সবকিছু করছে।

এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন বলেন, এক্সিম ব্যাংক সবসময়ই ইসলামী ব্যাংকের কাছাকাছি ছিল। গত কয়েক বছরে কিছুটা খারাপ হয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের কারণে। তবে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর কিছুটা আতঙ্কে গ্রাহকরা ডিপোজিট তুলে নিচ্ছিল। তবে আমরা বোঝাতে সক্ষম হওয়ায় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগীতায় এখন স্বাভাবিক ধারায় এসেছে ব্যাংকটি। আমরা এখন ভালো আছি। আমরা নিজেরাই ঘুরে দাঁড়াতে পারছি। তাই এক্সিম ব্যাংককে কেন এস আলমের সঙ্গে মার্জারে যুক্ত করা হবে প্রশ্ন রাখেন নজরুল ইসলাম স্বপন। তবে তিনি শুনেছেন উল্লেখ করে বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের নামের কারণে মার্জার করা হচ্ছে। কিন্তু কেন, ওনার শেয়ারতো ১২-১৩ শতাংশ।

সূত্র মতে, দেশে একীভ‚তকরণের আলোচনায় রয়েছে এমন কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব ব্যাংকের গ্রাহকরা নিজেদের জমানো টাকা তুলতে পারছেন না। নানা তালবাহানা আর অজুহাত দেখাচ্ছে ব্যাংকগুলো। ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন গ্রাহকরা। তাদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ। সূত্র জানায়, বিগত সরকারের সময়ে ব্যাংক খাতে লুটপাটের কারণে সৃষ্ট ক্ষত আরো প্রকট হচ্ছে। যে কারণে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। এখন ব্যাংকগুলোয় খেলাপি ঋণ পাঁচ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ফলে ব্যাংকগুলোর সম্পদের মান খারাপ হচ্ছে। এর বিপরীতে তারল্য সংকট বাড়ছে। তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো যেমন আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না, তেমনই গ্রাহকদের চাহিদামতো ঋণও বিতরণ করতে পারছে না। আগে বিতরণ করা ঋণ খেলাপি হওয়ায় এবং নতুন ঋণ বিতরণ কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর আয়ও কমে যাচ্ছে। এতে স্বাভাবিক লেনদেন করতে পারছে না। তবে এর বিপরীত চিত্রও রয়েছে। কিছু বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক আমানত সংগ্রহ আগের সময়ের তুলনায় রেকর্ড গড়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, গভর্নরের অমূলক বক্তব্য, মার্জার ইস্যু এবং কয়েকটি দুর্বল ব্যাংকের প্রভাব পড়ছে পুরো ব্যাংকিং সেক্টরে। কিছু ব্যাংক খেলাপি আদায়, ঋণ বিতরণে ভালো করলেও সার্বিক চিত্রে উঠে আসছে না।

এদিকে একীভ‚তকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক্সিম ব্যাংক আগে থেকেই অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি নতুন করে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের নয় শেয়ারহোল্ডার একীভ‚তকরণ প্রক্রিয়া থেকে ব্যাংককে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, আমরা অধিকাংশ উদ্যোক্তা ১৯৯৫ সালে ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে শুরু করে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ব্যাংকটির পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এরপর ব্যাংকটি পলাতক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর এস আলম শিল্পগোষ্ঠীর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ব্যবহার করে দখল হয়। এই ব্যাংক ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তখন এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক বিনিয়োগকারী সম্পৃক্ত ছিল।

এতে বলা হয়, ২০১৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এস আলম গং এই ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে এবং নাম সর্বস্ব বেনামি কোম্পানির নামে কোনো প্রকার জামানত ছাড়া হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদানের মাধ্যমে সরানো হয় এবং বিদেশে পাচার করা হয়। লুটপাট ও অনিয়মের ঘটনায় ওই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু নীরব দর্শকের ভ‚মিকাই পালন করেনি, বরং রীতিমতো সহায়কের ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল।

চিঠিতে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে এই ব্যাংকের পরিষদে পরিবর্তন আসে। কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে আমরা লক্ষ করি যে, কয়েকজন উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডারের পরিচালক হওয়ার যাবতীয় যোগ্যতা থাকা সত্তে¡ও শুধু একজন উদ্যোক্তা পরিচালক ও চারজন স্বতন্ত্র পরিচালকের সমন্বয়ে নতুন পরিচালনা পরিষদ গঠন করা হয়, যা ছিল ব্যাংকটির ভঙ্গুর আর্থিক অবস্থাকে টেনে তোলার জন্য সম্পূর্ণ অকার্যকর সিদ্ধান্ত। এখন এই ব্যাংকের প্রকৃত উদ্যোক্তা ও শেয়ারধারীদের সঙ্গে কোনো প্রকার আলাপ-আলোচনা ছাড়াই একীভ‚ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যা অত্যন্ত অন্যায্য, অনৈতিক ও আইনবহির্ভূত একটি প্রক্রিয়া বলে আমরা বিশ্বাস করি। এমন পদক্ষেপের ফলে ব্যাংকটির প্রতি অগণিত গ্রাহকের আস্থা আরো তলানিতে ঠেকেছে।

তারা আরো জানায়, আমরা বিশ্বাস করি যে ব্যাংকটি পরিচালনার দায়িত্ব যদি প্রকৃত উদ্যোক্তা ও এর শেয়ারহোল্ডারদের হাতে ন্যস্ত করা হলে খুব দ্রæত সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্বিক সহযোগিতায় গ্রাহকের আস্থা ফিরে আসবে। ব্যাংকের আর্থিক দুরবস্থা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে এবং বাণিজ্যিকভাবে আবার একটি লাভজনক ও সফল ব্যাংকে রূপান্তরিত হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, সরকারের সম্মতির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে। যেহেতু এখানে একটা বাজেট সহায়তা লাগবে, সেই আলোচনাটা এখনও চ‚ড়ান্ত হয়নি। যখন এটাতে সরকার সম্মত হবে যেহেতু বাজেটের বিষয়ে সরকার জড়িত; তখন বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নেবে যে আমরা এই একীভ‚তকরণ করবো। সিদ্ধান্ত নেয়ার পর একীভ‚তকরণ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াগুলো শুরু করা হবে।