Image description

চলছে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল। দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের মধ্যে তো বটেই, শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ব্যপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচনকে ঘিরে অতীত বিশ্লেষণ যেমন উঠে আসছে, তেমনি আসছে বর্তমান জনপ্রিয়তাও। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসছে ১৯৯০ সালের নির্বাচন। কেউ কেউ আলোচনায় তুলছেন ২০১৯ সালের নির্বাচন নিয়েও।

সূত্রের তথ্য, ১৯৯০ সালে ভূমিধস জয় পেয়েছিল ছাত্রদল। অন্যদিকে এর ২৮ বছর পর যে ডাকসু নির্বাচন হয়, তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি ছাত্রদল। ভোট পাওয়ার হারও ছিলো একেবারেই নগণ্য। সংসদটিতে শীর্ষ ৩টি পদে ছাত্রদলের প্রার্থীরা পেয়েছেন সর্বসাকুল্যে ১ হাজার এক ভোট। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি ছাত্রশিবির প্যানে। যদিও সেই নির্বাচন নিয়ে বরাবরই বিতর্ক ছিল। এটিকে ডাকসুর ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক নির্বাচন হিসেবেও আখ্যা দিয়ে থাকেন কেউ কেউ।

পত্রিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, অতীত নিকট এখনও পর্যন্ত বিতর্কমুক্ত ডাকসু ছিল ৯০-এর ডাকসু নির্বাচন। ওই নির্বাচনে ছাত্রদল থেকে ভিপি পদে আমান উল্লাহ আমান, জিএস পদে খাইরুল কবির খোকন, এজিএস পদে তাকদীর মোহাম্মদ জসিম মনোনয়ন পেয়েছিলেন। নির্বাচনে ছাত্রদল থেকে মোট তিনটি প্যানেল অংশ নেয়। প্যানেল তিনটি হল 'দুদু-রিপন', 'রিপন-আমান' এবং 'আমান-খোকন'। নির্বাচনে ৭ হাজার ৩৮৯ ভোট পেয়ে ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন আমান উল্লাহ আমান, ৭ হাজার ১৯১ ভোট পেয়ে জিএস পদে খাইরুল কবীর খোকন এবং ৭ হাজার ৮১ ভোট পেয়ে এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন নাজীম উদ্দীন আলম। 

WhatsApp Image 2025-08-25 at 2-48-32 PM
 ৯০’র ইত্তেফাক পত্রিকা থেকে

 

এছাড়াও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলেন ছাত্রলীগ সমর্থিত শাহ আলম-কামরুল প্যানেল। ভিপি পদে শাহ আলম পেয়েছিলেন ৩ হাজার ৬১৯ ভোট, জিএস পদে কামরুল পেয়েছিলেন ৩ হাজার ৪১৮ ভোট এবং এজিএস পদে মেহেদী পেয়েছিলেন ৩ হাজার ৫১১ ভোট। অন্যদিকে তুলনামূলক ভালো করেছিল ৯ ছাত্র সংগঠনের প্যানেল। ঐ প্যানেল থেকে ভিপি পদে মুশতাক পেয়েছিলেন ২ হাজার ৬১২ ভোট,জিএস পদে স্বপন পেয়েছিলেন ১ হাজার ৭৫২ ভোট এবং এজিএস পদে নঈম পেয়েছিলেন ১ হাজার ৮৪৯ ভোট।

৯০'র নির্বাচনে ছাত্র শিবির থেকে নির্বাচন করেছিল মুকুল-মুজিবর প্যানেল। ভিপি পদে মুকুল পেয়েছিলেন ১ হাজার ১৪৯ ভোট, জিএস পদে মুজিবর পেয়েছিলেন ১ হাজার ৮৪ ভোট এবং এজিএস পদে হেলাল পেয়েছিলেন ১ হাজার ২৭৯ ভোট। অন্যদিকে ছাত্র ইউনিয়ন থেকে ভিপি পদে বাবুল ১ হাজার ৭১ ভোট, জিএস পদে নাসির ২ হাজার ৩০ ভোট এবং ইয়াসিন ১ হাজার ৩৯৪ ভোট পেয়েছিলেন। জাতীয় ছাত্রদল থেকে ভিপি পদে বুলবুল ৮৬৫ ভোট, জিএস পদে কামাল ২৩০ এবং এজিএস পদে অহিদুজ্জামান পেয়েছিলেন ১ হাজার ২৩ ভোট।