Image description

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার বাস্তবায়ন দেখতে চাই। 

তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা হাসিনার আমলের মতো দিনের ভোট রাতে দেখতে চাই না। মানুষ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। এসব প্রতিনিধিরা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পাবে। এটাই গণতন্ত্র। 

আজ শুক্রবার উত্তরার আজমপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) উদ্যোগে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার। এটা হাতছাড়া করা যাবে না। যেকোন মূল্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা যেন ফিরে এসে আমাদের কোন সন্তানকে হত্যা করতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানসহ গত ১৭ বছর অজস্র প্রাণের বিনিময়েও দেশ এখনো অস্থিতিশীল। এভাবে চলতে পারেনা। যারা বুকের রক্ত দিয়েছে তাদের ঋণ শোধ করতেই হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু হাততালি ও স্লোগান দিলে হবে 
না। মানুষের কাছে যেতে হবে। তারা কি বলে, কি চায় শুনতে হবে। তা না হলে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে না।

ফখরুল জানান, গত এক বছরেও সরকার গণঅভ্যুত্থানের হতাহতদের সঠিক তালিকা করতে না পারেনি। এটা দুঃখজনক। সমাবেশে উপস্থিত শহীদ মুগ্ধর বাবা, শহীদ জাফরের মায়ের বেদনাসিক্ত কথা নিশ্চয়ই সরকারের কানে পৌঁছাবে। 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে গতকাল শেষ হওয়া বৈঠকের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল  বলেন, বৈঠক শেষ হয়েছে। এখন বাস্তবসম্মত যে সংস্কার সেগুলো বাস্তবায়ন করার পালা।

বিএনপির মহাসচিব আরো জানান, সরকারের প্রচেষ্টায় আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যশুল্ক কমেছে। এটা জাতির জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তিদায়ক।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোস্তফা জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান প্রমুখ।