Image description

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম এবং জুলকারনাইন সায়েরের সমালোচনা করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। যা নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। এ আলোচনার মধ্যেই নাহিদের সমালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, জুলাই আন্দোলন ও ‘জুলাই ঐক্য’ প্লাটফর্মের অন্যতম সংগঠক এবি জুবায়ের একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যা নিয়েও আলোচনার জন্ম চলছে। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে নাহিদ ইসলামকে উদ্দেশ্য করে জুবায়ের বলেন, অভ্যুত্থানে তো শিবির, ছাত্রদল, বাম, ডানসহ পলিটিক্যাল, এপলিটিক্যাল বহু পক্ষের এনগেজমেন্ট ছিল। পলিসি মেকিং লেভেলেও ডাইভার্সিটি ছিল। কয়জনকে রিকগনাইজ করেছেন আপনারা? অভ্যুত্থানের পরে মনে রাখছেন-ই কয়জনের নাম? আপনাদের বলয়ের বাইরের কাউকে মূল্যায়ন করা হয়েছে?

তিনি বলেন, ব্যাপারটা যদি এমন হতো যে আলাদাভাবে কাউকে রিকগনাইজ করা হয় নাই তাহলে ভিন্ন কথা ছিল। কিন্তু করা তো হয়েছে। বাকিদেরকে মাইনাস করে শুধু নির্দিষ্ট একটা গোষ্ঠীকে বারবার হাইলাইট তো করা হয়েছে! যেন এরাই সব, আর কেউ কোথাও ছিল না! এবং এই প্রক্রিয়ায় তো আপনারাই জড়িত! 

জবাবদিহিতা চেয়ে এবি জুবায়ের বলেন, প্লাস মাইনাসের রাজনীতি, ভাই-ব্রাদার কোরাম, হাবিজাবি কইরা অভ্যুত্থানের শক্তির মধ্যে বিভাজন আপনারা সৃষ্টি করেছেন৷ আপনাদের সংকীর্ণ মানসিকতা, ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা, হঠাৎ আসমানে উঠে যাওয়ার ভার সামলাতে পারার দক্ষতার অভাব জুলাই শক্তির মধ্যে বারবার বিভাজন এনেছে। এই দায় কি আপনারা এড়াতে পারেন? আপনার সৎ সাহস থাকলে উত্তর দিয়েন।

এ স্ট্যাটাসটির কমেন্ট বক্সে এবি জুবায়ের লেখেন, যারা বলছেন আমার জ্বলে কেন? আমার জ্বলে, কারণ আমি এই অভ্যুত্থানের সাথে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলাম। কীভাবে কি হয়েছে আমিও কিছুটা জানি। তাই চোখের সামনে কেউ পল্টি নিলে আমার জ্বলে। কারো সাথে বেঈনসাফী করা হলে আমার জ্বলে৷ উল্টাপাল্টা বললে আমার জ্বলে৷ ইতিহাস বিকৃত করলে আমার জ্বলে৷ অভ্যুত্থান কুক্ষিগত করতে চাইলে আমার জ্বলে৷ আমার এই জ্বলুনি থাকবে, কারণ আমি এই অভ্যুত্থানের চাক্ষুষ একজন সাক্ষী।