
কোনো অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন চাইলে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী হয়ে যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) অন্যতম সংগঠক মাইকেল চাকমা।
তিনি বলেন, আমরা সামরিক বাহিনীর নির্যাতন নিরসনে স্বায়ত্তশাসন চেয়েছিলাম। তখন থেকে আমাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: পাহাড়-সমতলের জাতিসত্তাসমূহের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিনস কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) শাখা।
মাইকেল চাকমা বলেন, সমতলে ফ্যাসিবাদের নানান চিহ্ন মুছে দেওয়ার অন্তত চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু পাহাড়ের সামরিক শাসনের অবসান ঘটেনি। শান্তি চুক্তি আছে, তা দিয়ে শান্তি কতটুকু আসবে জানা নেই। তবু প্রশ্ন থাকে, সে চুক্তি অনুযায়ী কোনো কাজ হয়েছে কিনা। এমনকি শেখ হাসিনা আমলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ দফা গোপন নির্দেশনা এখনও বহাল।
পাহাড়িদের প্রত্যাশা বাস্তবায়িত হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, এখনও পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে মানুষ মারা যায়। এক বছর আগে রুবেল ত্রিপুরাকে গুলি করে মারা হয়। এ ঘটনায় একজন উপদেষ্টা সেখানে সফরে যান এবং বিচারের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। তবে এক বছর হলেও সে তদন্ত কমিটির ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত।
তিনি অভিযোগ করেন, পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধার মানেই নাটকের মঞ্চায়ন। এখানে সামরিক শক্তি ধারাবাহিকভাবে এই নাটক মঞ্চায়ন করে। মানুষের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারায় পাহাড়িদের সম্পর্কে নেতিবাচকতা ছড়িয়ে দিতে তারা এই কাজ করে।
চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী মিশুক চাকমার সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম সরোয়ার সুজন, পিসিপি কেন্দ্রীয় সভাপতি অমল ত্রিপুরা প্রমুখ। শাখা বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) সাধারণ সম্পাদক শামিন ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।