Image description
বিএনপি নেতা আজিজুল হক রাজু | টিডিসি

জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর বাড্ডার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলার এক আসামিকে রক্ষায় বিএনপির এক নেতা মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নাম আজিজুল হক রাজু। তিনি গাজীপুর ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বলে পরিচয় দিয়েছেন। অভিযুক্ত আসামি গাজীপুরের টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ। তবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দাবি করেন, স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক।

জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের সময় করা ওই মামলার এজাহারে হারুন অর রশিদের নাম রয়েছে ৩৩১ নম্বর আসামি হিসেবে। আজ শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে মামলার বিষয়টি সরেজমিনে জানতে সাংবাদিকেরা ওই কলেজে গেলে সেখানে উপস্থিত ছিলেন একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও বিএনপি নেতা আজিজুল হক রাজু। তিনি নিজেকে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন এবং বর্তমানে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির পরিচয় দেন। অতীতে তিনবার কারাবরণ করেছেন বলেও দাবি করেন।

সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে আজিজুল হক রাজু বলেন, ‘আমি তিনবার জেলে গিয়েছি, তখন আপনাদের কাউকে নিউজ করতে দেখিনি। আওয়ামী লীগ থাকতে আপনারা কোথায় ছিলেন। এখন কেন আপনারা এখানে আসছেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন আসছেন? ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিএনপি করেন, ওনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা হয়েছে।’

প্রতি উত্তরে সাংবাদিকেরা বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরি করব, তাই এসেছি।’ তাতেও আজিজুল হক রাজু থেমে যাননি। উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের গাজীপুর প্রতিনিধিকে উদ্দেশ্য করে হেনস্তামূলক আচরণ করেন।

মামলায় অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ জানান, তিনি স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যে মামলা রয়েছে, তা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল উদ্দিনের ষড়যন্ত্রে ও সাবেক অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়ার ষড়যন্ত্রে এ মামলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আজিজুল হক রাজু ইতিপূর্বে নিজ দলীয় অনুষ্ঠানে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে উচ্চস্বরে অশোভনীয় আচরণ করায় থানা বিএনপির কাছ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন।