Image description

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেছেন, আপনারা তো অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ পরীক্ষায় পাস করে এখন ভারতে পলাতক, বিএনপি বারবার পরীক্ষা দিয়েছে। এবার আমাদের একটা সুযোগ দিন। যদি ভালো ফলাফল না করতে পারি দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে আসব না।

বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পৌর বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় গণসমাবেশ তিনি এ কথা বলেন।

প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রসংস্কার, গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি এবং দেশ ও ইসলামবিরোধী সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় দলটির কুমারখালী ও খোকসা উপজেলা শাখার আয়োজনে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় তিনি বলেন, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে ফুল দেওয়া নিয়ে, চেয়ারে বসা নিয়ে মারামারি-হট্টগোল হয়। তাই যাদের অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা হয় তাদের দিয়ে দেশ সুশৃঙ্খল করা যায় না। আর যাদের অনুষ্ঠানগুলো সুশৃঙ্খল তারা দেশকে সুশৃঙ্খল রাখতে পারে। আমরা বাংলাদেশকে হারামমুক্ত করতে পারব, যাদের আগাগোড়া সব জায়গায় হারাম তারা দেশকে হারাম মুক্ত করতে পারবে না।

গণসমাবেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চলছে তাতে কেয়ামত পর্যন্ত একজন গরিব গরিবই থেকে যাবে, আর যার টাকা আছে সে ততো বড়লোক হবে। এজন্য আপনাদের কোনো পরিবর্তন নেই। যাকে ভোট দিচ্ছেন তারা রাতারাতি আঙুল ফুলে কলা গাছ না বটগাছ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা হলে কাউকে চুরি করতে হবে না, বরং তার ন্যায্য প্রাপ্য তার কাছে পৌঁছে যাবে। অনেকেই ভাবে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা হলে তাদের সমস্যা হয়ে যাবে। ঘাড় ধরে দাড়ি রাখাবে- তারা ভুল ভাবছেন। ইসলাম এমনই একটি আইন এমন একটি কানুন যাতে আসলে সবকিছু ভালো হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কত উন্নয়ন করেছে কিন্তু তারা ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। কারণ তারা দেশের মানুষের ওপর জুলুম, নির্যাতন, অত্যাচার করেছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর যারা একই ধরনের অপকর্ম করছে- এখন বাংলাদেশের মানুষ এসব আর দেখতে চায় না। আমরা জুলাই আন্দোলন করেছিলাম এসব অপকর্ম দেখার জন্য না। যারা এসব অপকর্ম করছে বাংলাদেশের মানুষ অবশ্যই তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।

গণসমাবেশে তিনি বলেন, দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলের প্রতীকগুলো গরিবের হলেও তারা যেমন এগুলোর ব্যবহার জানে না, আবার তারা কেউ গরিব না। কিন্তু আমাদের প্রতীক হাতপাখা। এমনই এক প্রতীক যা সবাই ব্যবহার করতে পারে। তাই হাতপাখা মার্কা বিজয় হয় তাহলে বিজয় হবে সবার।

তিনি আরও বলেন, একবারের জন্য হলেও ইসলামকে সুযোগ দিন, ইসলামকে বোঝার চেষ্টা করুন। যাদের কথা ও কাজে মিল আছে তারা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। আর যাদের কথা ও কাজে মিল নেই তারা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খোকসা উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ আনোয়ার খানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা কাজী আতাউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল করীম আকরাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) মাওলানা মো. আরিফুল ইসলাম, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীম আবরারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।