
ভারতে বসে শেখ হাসিনা জুলাই বিপ্লবীদের হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশের আকাশে আজ কালো মেঘের ঘনঘটা। দেশকে নিয়ে দেশে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আ’লীগের প্রেতাত্মরা ভারত ও লন্ডনে বসে যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন বাংলাদেশে আ’লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ, আ’লীগ উইল নেভার কাম ব্যাক।
তিনি বলেন, ‘বিচার ও সংস্কারের আগে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আমাদের যুদ্ধ বাংলাদেশ বির্নিমানের যুদ্ধ। আগে বিচার ও সংস্কার শেষ হোক, তারপর নির্বাচন হবে। নির্বাচিত সরকার বিচার ও সংস্কার করবে কি করবে না এই নিশ্চয়তার মধ্যে আমরা থাকতে চাই না। আমরা হাসিনার বিচার ও সংস্কার নিশ্চিত হয়েই নির্বাচনে যেতে চাই। তাই গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যাতে কেউ বাধা হয়ে না দাড়ায় সে দিকে সজাগ থাকতে হবে।’
বুধবার (৯ জুলাই) রাতে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও দেশ গড়ার নতুন প্রত্যয়ে এনসিপির পদযাত্রা শেষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘মধ্য এশিয়ার টেরোরিস্ট হচ্ছে গুজরাটের কসাই নরেন্দ্র মোদি। আরেক টেরোরিস্ট হাসিনাকে প্রশয় দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা চেষ্টা করছে। হাসিনা নিজে টেরোরিস্ট এবং ছাত্রলীগও টেরোরিস্ট।’
সমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, নাসির উদ্দীন পাটোয়ারি, ডা: তাসনীম জারা, সারজিস আলম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ঝিনাইদহের সন্তান তারেক রেজা, শহীদ রাকিবের মা হাফিজা খাতুন ও শহীদ সাব্বিরের বাবা আমোদ আলী বক্তব্য রাখেন।
সাংবাদিকদের বেতন দেয়া হয় না বলে হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশের বেশিভাগ সাংবাদিকদের হাতে বুম ও পরিচয়পত্র ধরিয়ে দিয়ে বলা হয় এলাকায় গিয়ে খেটে খাও।’
সমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ পাখির মতো বাংলাদেশীদের হত্যা করছে।’
তিনি বিএসএফকে একটি খুনি বাহিনী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে। এখনই তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সংস্কার, হাসিনা ও আ’লীগের বিচার, নতুন সংবিধান রচনা ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করেই ঘরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।’