Image description

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, জাতীয় মহাসমাবেশ মূলত ইসলামী শক্তির ঐক্যের প্রতীক। মহাসমাবেশে সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারলেই ৭ দফা দাবি আদায় করা সহজ হবে ইনশাআল্লাহ। জনগণের যাতায়াতে সহযোগিতা করতে হবে। তাদেরকে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে তাদের পরিচালিত করতে হবে। দায়িত্বশীলগণ টিম করে আগ্রহী লোকদের নিয়ে যেতে পারলে তাদের মধ্যে উদ্দীপনা বাড়বে। তাই ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করতে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মপরিষদ বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় প্রধান অতিথি আরো বলেন, নির্বাচন ও সংগঠন দুটিই রেললাইনের ন্যায় সমান্তরাল গতিতে চালিয়ে নিতে হবে। সংগঠনের মূল ভিত্তি মজবুত করা যেমন জরুরি, তেমনি আগামী নির্বাচনে জনগণকে সাথে নিয়ে ব্যালট বিপ্লবে অবতীর্ণ হওয়া আরো গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি দায়িত্বশীলদের অব্যাহত তৎপরতায় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ ও ড. হেলাল উদ্দীন মুহাম্মদ নোমান, জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাকারিয়া, অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবু নাছের, সাংগঠনিক সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল হোসাইন, অধ্যাপক মাহমুদুল হাছান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা আবুল আফীফ, মাওলানা কামাল উদ্দীন, নুরুল হক, মাওলানা আবুল ফয়েজ, অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাঈল হক্কানী, মাওলানা আরেফে জামী, ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল মোস্তফা, আরিফুর রশীদ ও অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, জামায়াতের জাতীয় মহাসমাবেশের দিকে জাতি তাকিয়ে আছে। ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ৭ দফা দাবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা আশা করছি, জাতীয় মহাসমাবেশ জাতির প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে, ইনশাআল্লাহ।