
পাবনার সুজানগরে এক মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলাকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও সংঘর্ষে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রউফ খাঁসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে কয়েক দফায় পাবনার সুজানগরে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সুজানগর উপজেলা বিএনপির নেতা আব্দুর রশিদ খাঁর ছেলে ছাত্রদল নেতা সবুজ খাঁ একটি মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রউফ শেখের অনুসারীরা নন্দিতা সিনেমা হলের সামনে সবুজকে ধরে মারধর করে। মার খেয়ে সবুজ ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
দুপুরের দিকে সবুজ তার অনুসারী ও আত্মীয়-স্বজনদের ডেকে এনে রউফ অনুসারীদের ধাওয়া দেয়। উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইট-পাটকেল ছোড়া, এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রউফ মোল্লা, ছাত্রদল নেতা সবুজ খাঁ, তার চাচা লেবু খাঁ, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মজিবর খাঁ, যুবদল নেতা মানিক, কলেজ ছাত্রদল সভাপতি সাকিল, বিএনপি নেতা মনজেদ আলী, আসলাম সরদারসহ ১৫ জন উভয় পক্ষের আহত হন।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রউফ শেখ ও বিবাদমান গ্রুপের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মজিবুর খাঁ গ্রুপের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছে।