Image description
 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষক, সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী, বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলমের হাতে ফুল দিয়ে রাতারাতি বনে গেলেন বিএনপি নেতা। হয়ে গেলেন কলেজের গভর্নিং বর্ডির সভাপতিও। এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ঘটনাটি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার।

 

মাহাদি হাসান জুয়েল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত। থাকতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে। ছাত্রলীগের সুবাদে চাকুরি হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালযয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সমিতির নেতাও হন তিনি। নিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী নেতাদের সাথে ছবি তোলা, বৈঠক করা, সম্মেলনে যোগদানসহ একাধিক প্রমাণ রয়েছে তার।

 

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে বিএনপির ভোলা- ৪ আসনের সাবেক সাংসদ নাজিম উদ্দিন আলমের হাতে ফুল দিয়ে বনে যান বিএনপির নেতা। যার সুবাদেকে মাহাদি হাসান জুয়েল এখন চরফ্যাশন উপজেলার বেগম রহিমা ইসলাম কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। আলোচিত মাহাদী হাসান জুয়েলের বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ৬ নম্বর ওয়ার্ডে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা অব. সচিব মেজবাহ উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা এওয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন, শশীভূষণ থানা যুবলীগের সভাপতি জুয়েল রানা ও স্থানীয় যুবলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে জুয়েলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মাহাদী হাসান জুয়েল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে প্রোগ্রাম হতো আওয়ামী লীগের মতো করে। সেখানে আমি অংশগ্রহণ করেছি। আমি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কোনো প্রচার প্রচারণায় ছিলাম না। আমি কখনো আওয়ামী লীগ করি নাই। বিএনপির পক্ষ থেকে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর করা হয়েছে। আমি বিএনপি করি বিধায় আমাকে এই পদ দেয়া হয়েছে।

জুয়েল 2

 

এওয়াজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সালাম পাটওয়ারী বলেন, জুয়েলের বাবা আমাদের সঙ্গে একসাথে দল করেছেন। তাদের পরিবার আওয়ামী লীগের পরিবার। বিশ্ববিদ্যালয় পড়া এবং চাকরি সব সময় আওয়ামীলীগ করতো। এখন তিনি যদি অন্য দল করে থাকেন সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মঞ্জুর হোসেন বলেন, স্বৈরাচারের দোসর কাউকে অনুপ্রবেশ করিয়ে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হতে দেবো না।

জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য (চরফ্যাশন- মনপুরা) পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মো. মোস্তফা কামাল বলেন,আমার জানামতে জুয়েল ও তার পরিবার আওয়ামী লীগ করতো। আ.লীগ করার কারণে সে আমলে তার চাকরি হয়েছে। উক্ত কলেজের সভাপতি হতে জুয়েল বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করায় এলাকায় তাকে নিয়ে বিএনপি'র মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।