Image description

টুডে রিপোর্ট 


বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের সময়ে ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে সরকারপন্থী কলাম লিখে ভাইরাল হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন রহস্যময় ব্যক্তি। এবার অন্তবর্তী সরকারের সময়েও এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। তবে প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন, সরকার নয় বরং সামরিক বাহিনীর পক্ষে দেশের একমাত্র ট্যাবলয়েড পত্রিকা মানবজমিনে কলাম লিখে আলোচনায় এসেছেন শান্তনা রহমান নামে এক লেখিকা। 


বলা হচ্ছে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর পক্ষে অবস্থান নিয়ে এই কলাম প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি। এমনকি শান্তনা রহমান নামে কোনো সাংবাদিক বা কলামিস্টের সন্ধানও পাওয়া যায়নি কোথাও। সাংবাদিকরা বলছেন সম্প্রতি বা বিগত সময়ে এই নামে কোনো সাংবাদিক ও কলামিস্টের কোনো লেখা পত্রিকা বা অনলাইনে প্রকাশিত হয়নি। 


ফ্যাক্টচেকার ও ডিজিটাল ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিক কদরুদ্দিন শিশির তার এক ফেসবুক পোস্টে লিখেন, 'শান্তনা রহমান' কি ডরিন চৌধুরীর কাজিন কিনা তা জানতে চেয়ে অনেকে আমাকে কল করছেন। তাদের জন্য আমার বক্তব্য হইলো, ডরিন চৌধুরীর সাথে আমার প্রায় দুই বছর ধরে কোন যোগাযোগ নেই। এর মধ্যে তার কোনো চাচাতো খালাতো বা ফুফাতো বোনের জন্ম হয়ে থাকলে আমার জানা নেই। আর জন্ম হয়ে থাকলেও দুই বছর বয়স থেকে সাংবাদিকতা শুরু করেছে কিনা সেটাও জানা নেই।

 

কথিত শান্তনা রহমান রহমানের  লেখাটি ছিলো ভুল তথ্যে ভরা অন্যদিক জেনারেল ওয়াকারের নানা বন্দনায় ভরপুর । বলা হয়েছে, অন্য সবদল আরাকানের করিডোর নিয়ে প্রতিবাদ করলেও নাকি রহস্যজনক কারনে জামায়াতে ইসলামী  প্রতিবাদ করেনি । ইন্টারনেট চেক করে দেখা যায়,  আরাকানের কথিত মানবিক করিডোর নিয়ে জামায়াত নেতারা একাধিকবার প্রতিবাদ করেছে বিগত এক মাসে।