Image description

ছাত্রদলের এক কর্মীর পৈতৃক জমি দখল করতে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু ফেলেছেন বরিশাল মহানগর বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক নেতাকর্মী। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের কর্মী মো. মেহেদি হাসান।

লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদল কর্মী মেহেদি হাসান বলেন, বরিশাল মহানগর কলেজ রোড সংলগ্ন নগরীর ২৮নং ওয়ার্ডের হরিপাশা মৌজায় ১ একর ৪৮ শতাংশ জমি আমিসহ আমার বাপ-দাদার পৈতৃক সম্পত্তি। এই জমি নিয়ে আমার পরিবারের ১১ সদস্য বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২২ মে ১৮ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিবাদী পক্ষে ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা মাহমুদুল হক খান মামুন ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে আমার পৈতৃক সম্পত্তি দখল করে নেন। গত ৫ আগস্টের পর খান মামুন দেশ থেকে পলাতক থাকলেও উক্ত মামলা চলমান রয়েছে।

হঠাৎ চলতি মাসের ৯ মে শুক্রবার রাতে বরিশাল মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম খান ও মাহফুজুর রহমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা মশিউর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে ১০০ থেকে ১২০ জন লোক পাইপসহ ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আদালতে বিচারাধীন ওই মামলার জমিতে বালি ফেলতে শুরু করেন।

ঘটনা শুনে আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু ফেলার কারণ জানতে চাইলে ‘ওয়ান বিল্ডার্স’র মালিক আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ও ভূমিদস্যু মাসুম বিল্লাহ জানান, এই জমি এখন মঞ্জু, জসিম ও মাহফুজের। তারাই এই জমির মালিক। তারা এই জমি ভরাট করবে। পরে আমিসহ পরিবারের সদস্যরা প্রতিবাদ জানাই। কিছুক্ষণ পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে আমাদের পক্ষে অবস্থান নিলে তারা পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকে তিন বিএনপি নেতা বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে আমি বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

 

মেহেদি ও তার পরিবারের সদস্যরা বলেন, খান মামুনের পক্ষ হয়ে তারা জমি দখল করতে এসেছিল। জমির এসএ ও আরএস পরচা আমাদের নামে। কিন্তু কৌশলে খান মামুন বিএস পরচায় তার নাম উঠিয়েছে। যে কারণেই ওই মামলা।

এ ব্যাপারে মশিউর রহমান মঞ্জুর বলেন, ঘটনাস্থলে যাওয়াতো দূরের কথা এ ঘটনার পক্ষে বিপক্ষের কারো সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। যদি কেউ ১% প্রমাণ করতে পারে তাহলে সকল অপরাধ মেনে নেবো। মূলত বিএনপির এক নেত্রীর ছত্রছায়ায় পরিকল্পিতভাবে আমার নাম জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমি বিন্দুমাত্র জড়িত নই। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে তাহলে যে শাস্তি হয় তা মাথা পেতে নেবো।