Image description

ঢাকা যেন এক দাবির শহর। দাবি আদায়ে কথায় কথায় সড়ক অবরোধ। এক পক্ষের দাবি আদায় করতে গিয়ে লাখ লাখ নগরবাসীকে জিম্মি করা এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দাবি আদায়ের আন্দোলন আর অবস্থান বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেগ পেতে হচ্ছে। কখনো কখনো তারা কিছুই করতে পারছেন না। অনেকে বলছেন, সরকার ঘনিষ্ঠদের যখন তখন সড়ক বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করায় অন্যদের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারছে না। গতকাল একদিনে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ দুই সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন চলায় রাজধানীর অর্ধেক অংশ প্রায় অচল হয়ে পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়েন লাখ লাখ নগরবাসী। সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন করায় পুরো এলাকায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এতে তীব্র যানজট ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর অর্ধেক অংশ জুড়ে। তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি ঘিরে মৎস্য ভবন ও কাকরাইল এলাকায় সংঘর্ষ, অবস্থানের কারণে আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একইসঙ্গে দুপুরের পর শাহবাগ এলাকায় অবস্থান নিয়ে দাবি আদায়ের আন্দোলন শুরু করেন ডিপ্লোমা নার্সিং শিক্ষার্থীরা। সড়ক বন্ধ করে অবস্থান করায় আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে পুরো এলাকায় দীর্ঘ যানজট ছড়িয়ে পড়ে। যানজটে আটকে যাত্রীদের তীব্র দুর্ভোগে পড়তে হয়। রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই স্থানেই সড়ক অবরোধ অব্যাহত ছিল আন্দোলনকারীদের। 

যমুনামুখী লংমার্চ, পুলিশের লাঠিচার্জ-টিয়ারশেল: আবাসন ভাতা, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ ৩ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশ্যে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হওয়া এই লংমার্চ দফায় দফায় পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। দুপুরে যমুনার অদূরে কাকরাইল মোড়ে পৌঁছালে আগে থেকে অবস্থান নেয়া পুলিশ সদস্যরা জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর পুলিশের বিচার ও ৩ দফা দাবি আদায়ে কাকরাইল মসজিদ ও মৎস্যভবন এলাকার রাস্তার ওপর বসে অবস্থান নেন জবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বিকালে সেই অবস্থানে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি  ড. রেজাউল করিম। 

এর আগে আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা এই ৩ দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে যমুনামুখী লংমার্চ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। সেই ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল সকাল থেকেই জবি ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টররা। পরে সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। এ সময় তাঁতীবাজার মোড়ে তাদেরকে বাধা দেয় পুলিশ। সেই বাধা অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যায় জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এরপর গুলিস্তান এলাকায় আবারো পুলিশি ব্যারিকেড দিয়ে আবারো বাধা সৃষ্টি করা। সেই পুলিশি বাধাও অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যায় লংমার্চ। পরে  দুপুর পৌনে ১টার দিকে মৎস্যভবন এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। ধাক্কা-ধাক্কি ও উত্তেজনার একপর্যায়ে মৎস্যভবনের সেই পুলিশি বাধাও অতিক্রম করেন জবি’র শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে অগ্রসরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এরপরও শিক্ষার্থী সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলে টিয়ারগ্যাস ছুড়ে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। এ সময় দিগ্বিদিক ছোটাছুটির একপর্যায়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান আন্দোলকারীরা। এ সময় পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ওই সময় ইটপাটকেলও ছোড়েন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের ছোড়া টিয়ারগ্যাস ও লাঠিচার্জে সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। যাদের মধ্যে অন্তত ৩৮ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের মধ্যে আছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসিরউদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক বেলাল, সহকারী প্রক্টর নাইম সিদ্দিকী, বাংলা ট্রিবিউনের জবি প্রতিবেদক ও জবি প্রেস ক্লাব সভাপতি সুবর্ণ আসসাইফ, ঢাকা পোস্টের জবি প্রতিবেদক ও জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব লিমন প্রমুখ। 

এদিকে আহতদের যখন ঢামেকে নেয়া হচ্ছিল তখন আশেপাশে চলে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে আবারো সংঘবদ্ধ হয়ে কাকরাইল মসজিদের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তুমুল বৃষ্টির মধ্যেই রাস্তায় বসে অবস্থান নিয়ে তারা দাবি করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার জন্য পুলিশে বিচার করতে হবে। পুলিশের বিচার ও তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা থেকে উঠবেন না। এ সময় পুলিশের হামলায় আহত জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, সরকারের এই কর্মকাণ্ডে আমরা মর্মাহত। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের বিচার করতে হবে। 

আহত শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি ড. মো. রইছ উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার বিচার ও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, আমার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ অমানবিক আচরণ করেছে। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত এখন থেকে যাওয়া হবে না। জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব লিমন বলেন, আমরা যৌক্তিক আন্দোলন নিয়ে যমুনার অভিমুখে লংমার্চে যাওয়ার সময় পুলিশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। কয়েকজন গুরুতর আহত এবং বেশ কয়েকজনের হাত ভেঙে যায়। পুলিশ যেভাবে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে সেটি জুলাই আন্দোলনেও হয়নি। আমাদের নারী শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। অনতিবিলম্বে এ ঘটনায় যারা দোষী তাদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে যাবে না। বিকাল ৩টার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন, ব্যবসায় অনুষদের ডিন মঞ্জুর মোর্শেদ শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন। 

সন্ধ্যার পর কাকরাইল এলাকায় উপস্থিত হয়ে অবস্থান নেয়া জবি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উচ্চ শিক্ষার নামে প্রতারণা করা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত। সকল আন্দোলনে জবি সমৃক্ত ছিল। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা সেই সুযোগ-সুবিধা থেকে বরাবরই বঞ্চিত। তিনি বলেন, ৫ই আগস্টের পর থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের যে দাবি কিন্তু সরকার সে দাবি আমলে নিচ্ছে না। জবিয়ানদের এই আন্দোলনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিল আন্দোলনে পুলিশে যা হামলা চালিয়েছে এটা কখনোই ঠিক করেনি। তাদের বিচার হওয়া উচিত। যেই সরকার শিক্ষার্থীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারে না এই সরকার।

এদিকে সন্ধ্যায় জবি উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ ৫ জন শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সহকারী সচিব শাব্বীর আহমদ। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনা সমাধানের খবর পাওয়া যায়নি। 

ডিপ্লোমা নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধে অচল শাহবাগ: ওদিকে একদফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ  করেন ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারির শিক্ষার্থীরা। এতে অচল হয়ে পড়ে শাহবাগ এলাকা। দুপুর ২টার দিকে এ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির সমমানের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যেও চলে অবস্থান। রাত সাড়ে নয়টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও শাহবাগে অবরোধ চলছিল। অবরোধের কারণে শাহবাগ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। 
অবস্থান কর্মসূচি থেকে ‘দাবি মোদের একটাই, ডিপ্লোমাদের ডিগ্রি চাই’, ‘চব্বিশের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হচ্ছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবি ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির সমমান দিতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। 

দাবি আদায়ে সকাল দশটা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সমাবেশ শেষে তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ের দিকে আসেন। পুলিশ শাহবাগ থানার সামনে তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেন। পরে শিক্ষার্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। অবস্থান কর্মসূচিকে ঘিরে শাহবাগ মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সড়কে বসে পড়েন। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে ছিলেন অনেকে। অনেকে হেঁটে তাদের গন্তব্যে পৌঁছান। এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের সমন্বয়ক সজীব বলেন, তারা বিগত সরকারের আমলে ২০২১ সালে একই দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। কিন্তু সে সরকার আশ্বাস দিলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গত ৭ই এপ্রিল আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আমাদের দাবির বিষয় বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছিল। আমরা বলেছিলাম, এক মাসের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে কিন্তু এখানো সেটি হয়নি। 

ডিপ্লোমা ইন নার্সিং মিডওয়াইফারি ডিগ্রি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য আকাশ মিয়া বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। আমাদের দাবি পূরণে আজ এক ঘণ্টা সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা দাবি পূরণে কোনো ব্যবস্থা নেননি। এজন্য আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাবো না।