
ভারতের অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক বীণা সিক্রি সম্প্রতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির সম্পর্কে যেসব ভিত্তিহীন ও মিথ্যা মন্তব্য করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
সোমবার (১০ মার্চ) জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের মুজিবুল আলম ওই প্রতিবাদলিপিটি গণমাধ্যমে পাঠান।
এতে গোলাম পরওয়ার বলেন, ভারতের অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক বীণা সিক্রি সম্প্রতি ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনে প্রকাশিত একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যেসব ভিত্তিহীন ও মিথ্যা মন্তব্য করেছেন আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে তিনি যেসব মন্তব্য করেছেন তার মধ্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই। তার বক্তব্যগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। তার বক্তব্য থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে তিনি সম্পূর্ণ অজ্ঞ।
তিনি (বীণা সিক্রি) ‘জামায়াতে ইসলামী আইএসআইয়ের বাহক ছিল এবং দলটি (জামায়াত) পাকিস্তানের প্রভাবের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে’ মর্মে যে মন্তব্য করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। তার এ মন্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই। জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার হীনউদ্দেশ্যেই তিনি উপরে উল্লেখিত বিভ্রান্তির মন্তব্য করেছেন।
গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, তিনি (বীণা সিক্রি) ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সংবিধানকে সর্বোচ্চ দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না এবং ইসলামী ছাত্রশিবির অস্ত্র লুট করেছিল ও এসব অস্ত্র এখনো ব্যক্তিগত হাতে রয়েছে’ মর্মে যেসব ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও কাল্পনিক মন্তব্য করেছেন তার নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা আমাদের জানা নেই। তার ওই ভিত্তিহীন মিথ্যা মন্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১৯৭৯ সালে জন্মের পর থেকেই বাংলাদেশের সংবিধান মেনে এ দেশে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিকপন্থায় রাজনীতি করছে। জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ বাংলাদেশের সংবিধান মেনে মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এখনো জামায়াত দেশের সংবিধান মেনেই রাজনীতি করছে। এ থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, বীণা সিক্রি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা মন্তব্য করেছেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বীণা সিক্রির বক্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা কোনো থানায় অগ্নিসংযোগ করে অস্ত্র লুট করেনি। কাজেই তাদের হাতে অস্ত্র থাকার প্রশ্নই আসে না।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, কোনো একটি দেশের রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম ও তৎপরতা সম্পর্কে ফ্যাসিবাদের দোসরদের মতো একই ভাষায় কথ বলা এবং ভিত্তিহীন ও অসত্য মন্তব্য করা অপর একটি দেশের কোনো কূটনীতিকের সমীচীন নয় বলে আমরা মনে করি। আমি আশা করি ভারতের সাবেক কূটনীতিক বীণা সিক্রি জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সম্পর্কে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকবেন এবং জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সম্পর্কে ভিত্তিহীন মিথ্যা বানোয়াট মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবেন।