Image description
খুলনা মেডিকেলে জনবলসংকটে ব্যাহত হয় অপারেশন

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যানেসথেসিওলজি বিভাগে জনবলসংকট এতটাই বিপাকে ফেলেছে যে, অপারেশন কার্যক্রম পর্যন্ত ব্যাহত হচ্ছে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোর্সের ক্লাসও বন্ধ হয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বিভাগে অনুমোদিত ৪২ পদের মধ্যে অধ্যাপক, অ্যানেসথেসিওলজিস্ট, রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিকেল অফিসারসহ ৩৪ পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। পাশাপাশি সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি ও অ্যানেসথেসিয়ার ১৩টি মেশিনের মধ্যে ৫টি নষ্ট। এ ছাড়া ওটি টেবিল ৩টি, ওটি লাইট ১টি, পাল্স অক্সিমিটার ৩২টির মধ্যে ২৫টি, ডায়াথার্মি মেশিন ৭টি, ল্যাপারোস্কপি মেশিন ৩টি, আইসিইউ বেড ৬টি, কার্ডিয়াক মনিটর ১১টি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। জনবলসংকট ও অপ্রতুল সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতির কারণে স্বাভাবিক অপারেশন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, ২০২৪ সালে খুমেক হাসপাতালে অপারেশন হয়েছে মোট ১০ হাজার ৭২২টি। এর মধ্যে রুটিন অপারেশন ২ হাজার ৭২৬টি ও ইমারর্জেন্সি ৭ হাজার ৯৯৬টি। ২০২৩ সালে অপারেশন হয় ৯ হাজার ৫৫৯টি। এতে রুটিন অপারেশন ২ হাজার ৭৮৯টি, ইমারর্জেন্সি ৬ হাজার ৭৭০টি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যাপ্ত জনবল ও চাহিদা অনুযায়ী যন্ত্রপাতি থাকলেও এর দ্বিগুণ অপারেশন করা সম্ভব।

অ্যানেসথেসিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. দিলীপ কুমার কু ু জানান, জনবলসংকটের কারণে বিভিন্ন রুটিন অপারেশন, ২৪ ঘণ্টা ইমারর্জেন্সি অপারেশন, পোস্ট অপারেটিভ ম্যানেজমেন্ট, ২০ শয্যা আইসিইউ অ্যানেসথেসিয়া বিভাগ সার্বক্ষণিক পরিচালনা দুঃসাধ্য। এ ছাড়া অ্যানেসথেসিয়া পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা কোর্সে সাপ্তাহিক তিন দিন ক্লাস নেওয়ার কথা থাকলেও এক দিনের বেশি ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয় না। এতে কোর্স পরিচালনা ও পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে জনবলসংকটে একজন অ্যানেসথেটিস্টকে একই সঙ্গে একাধিক রোগীর অ্যানেসথেসিয়া দিতে হয়, যা অত্যন্ত ঝুঁঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক। সেই সঙ্গে অপারেশনসংশ্লিষ্ট সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতিও ব্যবহারজনিত ও অনেক পুরাতন হওয়ায় অকেজো থাকে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মোহসীন আলী ফরাজী জানান, জনবলসংকট ও অপ্রতুল যন্ত্রপাতির কারণে স্বাভাবিক অপারেশন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। লিখিতভাবে মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।