Image description
একটি হত্যা আরেকটি বিস্ফোরকের

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে এখনো দুটি মামলা বহাল আছে। মামলা দুটি হচ্ছে কুমিল্লায় একটি হত্যা ও একটি বিস্ফোরক মামলা। বিগত সেনা-সমর্থিত ওয়ান-ইলেভেন এবং পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে সারা দেশে ৩৭টি মামলার তথ্য মিলেছে। ইতোমধ্যে খালেদা জিয়ার ৩৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি খারিজ এবং কয়েকটিতে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়। এ ছাড়া মামলা চলার মতো উপাদান না থাকায় কয়েকটি মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনকে।

সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন, অবশিষ্ট মামলা থেকে অব্যাহতি পেলে একেবারে মামলামুক্ত হয়ে যাবেন খালেদা জিয়া। তাঁরা আশাবাদী সব পক্ষ সক্রিয় থাকলে কম সময়ের ব্যবধানে বাকি মামলাগুলো থেকে নির্দোষ প্রমাণিত হবেন তিনি। বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা করা হয়। এসব মামলার সঙ্গে ওনার কোনো সম্পর্ক নেই। এর মধ্যে ৩৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকে বলে আসছিলাম আইন তার নিজস্ব গতিতে চললে খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন।’

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সারা দেশে হওয়া ৩৭টি মামলার মধ্যে পাঁচটি দুর্নীতি মামলা, চারটি মানহানির ও একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা। বাকিগুলো হত্যা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, বোমা হামলা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, ‘মিথ্যা’ জন্মদিন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে করা হয়।

এর মধ্যে ঢাকায় ২৮টি আর ঢাকার বাইরে ৯টি মামলা হয়। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন পর্যন্ত ৩৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। শুধু কুমিল্লায় করা তিনটি মামলার মধ্যে একটি হত্যা ও একটি বিস্ফোরক মামলা নিষ্পত্তির বাকি রয়েছে।

খালেদা জিয়ার অবশিষ্ট দুই মামলা : বিএনপির টানা অবরোধ-হরতালের মধ্যে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপে আট যাত্রীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে, অপরটি হত্যা মামলা। এ দুটি মামলা এখন চার্জ গঠন শুনানির জন্য কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ মাহবুবুর রহমানের আদালতে আছে।

এ মামলায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়ুমুল হক রিংকু বলেন, ‘কুমিল্লায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দুটি চার্জ গঠন শুনানির জন্য আছে। আশা করছি, এ দুটি মামলা থেকেও তিনি অব্যাহতি পাবেন।