
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদে সরকারের আরেক উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম আসতে পারেন বলে আলোচনা হচ্ছে। তবে সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র কালের কণ্ঠকে এমন আভাস দিয়ে বলেছে, সাধারণত এই মন্ত্রণালয়টির মন্ত্রী বা উপদেষ্টা সরকারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে থাকেন। সেই হিসেবে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখার ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ মহলও একমত। তাই আগামী দিনে নাহিদ ইসলামের চেয়ারে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে সংযুক্ত উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকেই দেখা যেতে পারে বলে সূত্র বলছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে গতকাল পদত্যাগ করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান নেতা মো. নাহিদ ইসলাম। দুপুরের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিনি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। সাধারণত উপদেষ্টার পদ শূন্য হলে তাত্ক্ষণিকভাবে সেসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টার কাছে ন্যস্ত হয়। তিনিই উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করেন।
নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর এখন এই দুই মন্ত্রণালয়, বিশেষ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে কে আসছেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা ও গুঞ্জন।
কেউ কেউ বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবকেও পদোন্নতি দিয়ে তথ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এ ছাড়া এ পদে প্রেস উইংয়ের একজন সিনিয়র সাংবাদিকের নামও আলোচনায় আছে বলে জানা গেছে।
মাহফুজ আলম গত বছরের ১০ নভেম্বর উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। তবে তিনি কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নেই। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ২০ দিনের মাথায় ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক করেছেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মাহফুজ আলম। আন্দোলনে তিনি রাজনৈতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগীর দায়িত্বে ছিলেন। গণ-অভ্যুত্থানের পর ছাত্র, নাগরিক ও সরকারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য গঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন তিনি।