|
কাজী সিরাজ
|
|
শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আরেকটি নির্বাচন জরুরি
19 Mar, 2014
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আবারও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অতি দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। গত ৯ মার্চ, ২০১৪ ঢাকা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এই দাবি জানান। এর আগে গত ১ মার্চ রাজবাড়ীতে আয়োজিত এক জনসভায়ও তিনি একই দাবিতে উপজেলা নির্বাচনের পর সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দেন। সেই আন্দোলনে তিনি সব শ্রেণী-পেশার মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন। খালেদা জিয়া তাঁর প্রতিটি ভাষণেই বর্তমান সরকারের বৈধতার প্রশ্ন তুলেছেন এবং ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ভোটারবিহীন তামাশার নির্বাচন বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, এই নজিরবিহীন নির্বাচনে গণরায়ের কোনো প্রতিফলন নেই। নামকাওয়াস্তে নির্বাচনের নামে এই সরকার জবরদস্তি ক্ষমতা দখল করে আছে। তিনি বর্তমান সংসদ ও সরকারের বৈধতার প্রশ্ন তুলে বলেছেন, এই সংসদ অধিবেশনের পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় অনৈতিক। এই সংসদের পেছনে জনগণের টাকা নষ্ট করার অধিকার এই সরকারের নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় সরকারের 'গায়ে জ্বালা' শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেছেন, পরাজয় এড়ানোর জন্য তারা কেন্দ্র দখল করে ভোট কাটাকাটি করেছে, ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডার এবং প্রশাসনে তাদের দলীয় লোকেরা বিএনপিকর্মীদের বের করে দিয়েছে। তিনটি উপজেলার স্থগিত কেন্দ্রে গত ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তারা সহিংস তাণ্ডব ঘটিয়ে দুটিতে বিএনপির বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এসব না করলে উপজেলা নির্বাচনে শাসক লীগের যে আরো ভয়াবহ ভরাডুবি হতো, স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন বিএনপি নেত্রী।
শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আরেকটি নির্বাচন জরুরি
খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যের অন্তর্নিহিত সুর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট (এখন ১৯ দল) প্রায় দুই বছর নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করেছে। রাজনৈতিক নেতাদের পারস্পরিক অনাস্থাজনিত কারণে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস হয় ও সংবিধানের ৫৮ (খ), (গ), (ঘ) ও (ঙ) অনুচ্ছেদে তা সংযোজিত হয়। ১৯৯৩ সালের অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখে জাতীয় সংসদে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিসংবলিত মুলতবি প্রস্তাব পেশের মাধ্যমে নির্বাচনকালে দলীয় সরকারের পরিবর্তে নির্দলীয় সরকারের জন্য আওয়ামী লীগ আনুষ্ঠানিক আন্দোলনের সূচনা করেছিল। পরে ওই আন্দোলনের পার্টনার বানায় জামায়াতে ইসলামী ও স্বৈরাচার এরশাদের জাতীয় পার্টিকে। ১৯৯৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মাগুরা-২ আসনের উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে লীগ-জামায়াত-জাপা প্রায় দুই বছর রক্তক্ষয়ী আন্দোলন করে। সেই আওয়ামী লীগই নবম জাতীয় সংসদে দানবীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে গণদাবিভিত্তিক গণ-আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করে একতরফা একটা নির্বাচন করে নেয়। শাসক লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট এবং তাদের সমমনারা সেই নীলনকশার নির্বাচন বর্জন করে। প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্র ছাড়া দেশ-দুনিয়ার কোথাও সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। রুটিনমাফিক নতুন সরকারপ্রধানকে অভিনন্দন জানালেও অতি দ্রুত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন সবাই। আওয়ামী সমর্থকরা ছাড়া সারা দুনিয়ার এবং দেশের শান্তি, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনপ্রিয় বিবেকবান মানুষ এ দাবিতে সোচ্চার। গত ১১ মার্চও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে বাংলাদেশের ৫ জানুয়ারির অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রশ্নে ইইউ তাদের অবস্থান মোটেই পাল্টায়নি। এ কথা জানিয়েছেন জোটের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ফ্রান্সের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মিশেল টিংকুইয়ার। তিনি স্পষ্টই জানিয়েছেন, ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ইইউর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ক্যাথরিন অ্যাস্টন প্রাথমিক যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, সে অবস্থানে অটল রয়েছে জোটের সদস্য ২৮টি রাষ্ট্র। রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আলিয়ঁস ফ্রঁসেসে সাত ফ্রাংকোফোনি দেশের রাষ্ট্রদূতদের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। গত নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি মর্মে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পর্যবেক্ষণ ও নতুন নির্বাচনের তাগিদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ও কানাডার হাইকমিশনার তাঁদের মতামত দেন। কানাডিয়ান হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রধান বিরোধী জোট অংশ নেয়নি। ১৫৩টি আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হয়নি। এ ছাড়া নির্বাচনের পর বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ মনে করে, ওই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। কানাডার দূত স্পষ্টই বলেন, এসব কারণে তিনি এবং তাঁর দেশ মনে করে বাংলাদেশের সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নতুন নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। এ সময় নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষের নিন্দা করে হিদার ক্রুডেন ও মিশেল টিংকুইয়ার একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে এখনই উদ্যোগী হতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানান। ক্রুডেন বলেন, সহিংসতামুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর একটি সমাধানে আসা জরুরি। কারণ এ ধরনের সহিংসতায় অনেক নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান। ধর্মীয় সংখ্যালঘুরাও আক্রান্ত হন। এটি উন্নয়নের প্রতিবন্ধক। কানাডার হাইকমিশনার বলেন, কেবল পরবর্তী নির্বাচনই নয়, আগামী ৫ থেকে ১০টি নির্বাচন কিভাবে সংঘাতমুক্ত পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করা যায়, তা নিয়ে এখনই আলোচনা শুরু করতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে যে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। এটি এড়িয়ে চলার পথ খুঁজে বের করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বসার আহ্বান জানান তিনি।
খালেদা জিয়া একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন। নজিরবিহীন ও অতি-বিতর্কিত দশম সংসদ নির্বাচনের পর পরই নিরীহ সংখ্যালঘুদের ওপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা হয়। তাদের মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, প্রতিমা ভাঙচুর, সহায়-সম্পদ দখলের একটা যেন উৎসব চলে। সঙ্গে সঙ্গে সরকারি কলেরগানে বাজতে থাকে সেই 'পুরনো ভাঙা রেকর্ড' যে সব করছে বিএনপি আর জামায়াত-শিবির। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলল সেই সব নারকীয় ঘটনা। জনগণ কিন্তু সরকার ও সরকারি দলের কথা, তাদের বেনিফিশিয়ারি 'বুদ্ধিজীবীদের' মিডিয়া ফাটানো বক্তব্য বিশ্বাস করল না। কেননা বিএনপি-জামায়াত তো নির্বাচনই করেনি; তারা নির্বাচনী সহিংসতায় কেন জড়াবে? সহসাই সবাই ভাবতে শুরু করল যে বিনা ভোটে ১৫৪, নামকাওয়াস্তে ভোটে ১৪৬ জনকে এমপি বানিয়ে সরকার যে হাস্যকর নির্বাচনী খেলা করেছে, তা থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়ার জন্যই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অমানবিক ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে কি না? কেননা নির্বাচনের পর পরই দেশ-বিদেশে ওই নজিরবিহীন নির্বাচন নিয়ে বিরূপ সমালোচনার ঝড় ওঠার কথা ছিল। কিন্তু নিষ্ঠুর এক ঘটনা নিয়ে আসা হলো সামনে। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, এত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটল, তাৎক্ষণিকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে 'কোরাস' বাজল; কিন্তু এত দিন পরও জানা গেল না, কে বা কারা ঘটিয়েছে ওই সব হামলা-হাঙ্গামা। তাই খালেদা জিয়া শাসক লীগের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে যে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন, তা অবশ্যই বিবেচনার দাবি রাখে। এর আগেও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তাৎক্ষণিকভাবে সরকারের মন্ত্রী-মিনিস্টাররা তাঁর দায় বিএনপি-জামায়াতের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত একটা ক্ষেত্রেও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আইন-আদালতে তা প্রমাণ করা যায়নি। তাই এটা কী বলা যেতে পারে না যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের নিরাপত্তার অজুহাত দাঁড় করিয়ে প্রতিবেশী কোনো রাষ্ট্রের সাহায্য-সমর্থন অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যেই এই অপপ্রচার চালানো হয়েছে? এর পরই নিয়ে আসা হয় আল-কায়েদা-জাওয়াহিরি প্রসঙ্গ। আবারও দোষারোপ বিএনপির ওপর- সরাসরি খালেদা জিয়ার ওপর। বলা হলো, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে আয়মান আল জাওয়াহিরি নাকি তিনবার বাংলাদেশে এসেছিলেন। অভিযোগটি মহান জাতীয় সংসদে করেছেন সরকারের কৃষিমন্ত্রী সাবেক কমিউনিস্ট বেগম মতিয়া চৌধুরী। বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে নাকি বৈঠকও করে গেছেন জাওয়াহিরি। এত মারাত্মক অভিযোগ, কিন্তু কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই। বোঝা যায়, এটা আরেক নতুন 'প্রজেক্ট' সরকারের। দশম জাতীয় সংসদের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের পর পশ্চিমা দুনিয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে আছে শেখ হাসিনার সরকার। আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা দুনিয়া বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ে লিপ্ত। তাই বাংলাদেশে জঙ্গিবাদীরা ঘাঁটি গেড়েছে, এ কথা বলে এবং এই কথিত জঙ্গিদের সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টতার খবর ছড়িয়ে সরকার ওই সব পশ্চিমা দেশের সহানুভূতি-সমর্থন পাওয়ার উদ্দেশ্যেই জঙ্গি-কার্ড নিয়ে খেলছেন বলে ধারণা করা যায়। খালেদা জিয়া রাজবাড়ীর জনসভায় এ ব্যাপারেও স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন যে 'বাংলাদেশে আল-কায়েদার কোনো স্থান নেই; বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে কাউকে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া হবে না।' কাজেই সরকারের এই 'ব্লেইম গেইম'ও কোনো কাজে লাগবে বলে মনে হয় না।
আসলে সরকার বড়ই অস্বস্তিতে আছে। সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের এই বক্তব্য যথার্থ বলেই মনে হয়। বিএনপি সংসদে নেই- তেমন সংসদ বাংলাদেশে কল্পনা করাও কঠিন। কৌশলে তাদের সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি, এটা এখন কাউকে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই। বিএনপির জনসমর্থন নেই, তাই তারা নির্বাচনে আসেনি বলে সরাকারি প্রচার ভণ্ডুল করে দিয়েছে উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল। দেশ-বিদেশে দুই ধাপ উপজেলা নির্বাচনেই প্রমাণ হয়ে গেছে যে সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে শাসক লীগের শোচনীয় পরাজয় ঘটত। বিএনপি-জামায়াত জোট এখন স্বাভাবিকভাবেই চাঙ্গা। তারা একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নতুন আন্দোলন শানাতে পারে বলেই গণরায় থেকে প্রমাণ হয়। কাজেই দ্রুত একটি অর্থবহ নির্বাচনের জন্য খালেদা জিয়ার লড়াইয়ের ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে বন্দুক ছেড়ে আলোচনায় বসার জন্য তিনি সরকারের কাছে সরাসরি প্রস্তাব দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সরকারের ভাবনা-চিন্তা করা উচিত। কোনো প্রকার চালাকি বা শঠতার আশ্রয় না নিয়ে, নিরীহ জনগণকে জিম্মি না করে সরকারের উচিত, বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসা এবং রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা।
দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উৎপাদন, উন্নয়ন, প্রগতি, সামাজিক শান্তি ও রাষ্ট্রীয় স্থিতি নিশ্চিত করতে হলে এর আর কোনো বিকল্প নেই। দলীয় ক্যাডার ও রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে নির্বাচন করলে তা ক্ষমতাসীন সরকারের একটি 'সিভিল ক্যু' হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এ রকম একটা জনগণ-বর্জিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত নৈতিকতার মানদণ্ডে অবৈধ সংসদের দোহাই দিয়ে ক্ষমতা প্রলম্বিত করার মতলব আখেরে ভালো কোনো ফল দেবে বলে মনে হয় না। কারণ এ পথে সরকার গঠন গণতন্ত্র হত্যার শামিল।
লেখক : সাংবাদিক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন