প্রথম আলোর ভবনে হামলার সময় অন্যান্যদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাহিত্য সম্পাদক আশরাফুল ইসলামকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। অবশ্য আশরাফুল বলছেন, কাজ থেকে ফেরার পথে ঘটনা অবজার্ব করতে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদনে প্রথম তাকে হামলাস্থলে দেখা যায়। পরে এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এসময় তাকে হামলা করতে দেখা যায়নি।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পরপরই ছাত্রদল ও জাতীয় ছাত্রশক্তির নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর সমালোচনা করেন। একইসঙ্গে আশরাফুল ইসলাম ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে তারা দাবি করেন।
এ ঘটনার পর ছাত্রশিবিরের একাধিক নেতার সঙ্গে বিভিন্ন সময় তার ছবি প্রকাশ পায়। তবে তার থেকে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চাওয়া হলেও ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে তিনি দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তিনি একটি লিখিত বক্তব্য দেন।
এতে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার একটি সায়েন্স ফেস্টের কাজে বিকেল সাড়ে ৪টায় মেট্রোতে গিয়ে রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত আমি খামারবাড়ি কেআইবিতে ছিলাম।
তিনি বলেন, কারওয়ানবাজার আসতে না আসতে কিছু মানুষ রাস্তা আটকায়। পরে রিকশা থেকে নেমে হেঁটে সামনে আসতে দেখি, অনেক মানুষ একত্রিত হয়ে একটি ভবনে ভাঙচুর করছে। সেখানে অবজারভ করার জন্য কিছু সময় বাহিরে দাঁড়িয়েছিলাম, পরে পরিস্থিতি অবনতি দেখে সেখান থেকে হেঁটে হলে চলে আসি।
তিনি বলেন, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে জড়িতদের সঙ্গে আমাকে মিলিয়ে অপপ্রচার না করার অনুরোধ করছি। প্রয়োজনে যারা যারা ভবনের ভেতরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে জড়িত ছিল সেখানে আমার সম্পৃক্ততা আদৌ আছে কিনা ফুটেজে মিলিয়ে নিতে পারেন। একইসঙ্গে তার বক্তব্য মেলাতে আসা-যাওয়ার ফুটেজ এনালাইসিস করার দাবিও করেন তিনি।