মগবাজার মৌচাক ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া শক্তিশালী একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় নিচে দাঁড়িয়ে থাকা সিয়াম মজুমদার (২১) নামে এক তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় চেকপোস্ট বসিয়ে টহল জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
এদিকে পুলিশ বলছে, ককটেলটি অত্যন্ত শক্তিশালী। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক ককটেল সন্ত্রাসেরই অংশ এটি।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব কথাই বলেন।
আজ সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর মগবাজার ফ্লাইওভার বাংলামোটর টানেল থেকে দুর্বৃত্তদের নিক্ষিপ্ত বিস্ফোরক দ্রব্যের আঘাতে মাথার ঘিলু বের হয়ে সিয়াম মজুমদার নামে এক তরুণ ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহত সিয়াম স্থানীয় জাকির-কার ডেকোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। ঘটনার সময় তিনি মগবাজার নিউইস্কাটন কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সামনে রাস্তার ওপর দাঁড়ানো ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, সিয়াম মজুমদারের হত্যাকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে করছেন, ঘটনাটি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক ককটেল সন্ত্রাসেরই অংশ যার উদ্দেশ্য- জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক ছড়ানো।
এদিকে রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান বলেন, নিক্ষেপ করা ককটেলটি নিচে দাঁড়িয়ে থাকা সিয়ামের মাথায় আঘাত করলে মাথার পেছনের বেশিরভাগ অংশ ঘিলু বেরিয়ে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ককটেলটি খুব শক্তিশালী ছিল, মানে বহু স্প্লিন্টার ছিল।
এদিকে রাতে হাতিরঝিল থানা পুলিশ সিয়ামের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহত সিয়ামের সহকর্মী অহিদুল হাওলাদার জানান, নিউ ইস্কাটনে ‘জাহিদ কার ডেকোরেশনের’ কর্মচারী সিয়াম। গত তিন-চার বছর ধরে এখানে কাজ করতেন তিনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দোকানে কাজ সেরে চা পান করার জন্য বের হয়েছিলেন সিয়াম।
তিনি জানান, সিয়াম অবিবাহিত। তার বাবা সিএনজি অটোরিকশা চালক।
নিহত সিয়াম মজুমদারের বাড়ি খুলনা দিঘলিয়া উপজেলার কলনি এলাকায়। তার বাবার নাম আলী আকবর। বর্তমানে ইস্কাটন দুই হাজার পত্রিকা গুলি এলাকায় থাকতেন তিনি।