Image description

সনাতনী ঐক্য পরিষদের ডাকে ‘পেট্রাপোল বর্ডার চলো’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার আনুমানিক ২টা থেকে ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে।

বেনাপোল আইসিপি এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ সীমান্তের বিপরীত পাশে ভারতের ০৫ বিএসএফ পেট্রাপোল ক্যাম্প সংলগ্ন এলপিএআই (LPAI) এলাকায় এই কর্মসূচি পালিত হয়।

ভারতের বনগাঁও বাটার মোড এলাকা হয়ে বিজেপির বিধায়ক (এমএলএ) অশোক কীর্তনীয়া ও বিজেপির সাংসদ (এমপি) শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে বনগাঁও হিন্দু নাগরিক ঐক্য মঞ্চ এবং সনাতনী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলটি পেট্রাপোল এলাকায় এসে সমাবেশে রূপ নেয়।

এতে আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ জন বিক্ষোভকারী অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের দিপু দাস হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে জানা গেছে।

বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পরিস্থিতি যাতে কোনো অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি না করে সে জন্য ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সতর্ক অবস্থানে ছিল। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) সীমান্ত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে।

এ বিষয়ে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, আমরা শুনেছি বেনাপোলের ওপারে পেট্রাপোল এলাকায় সনাতনী ঐক্য পরিষদের একটি জমায়েত হয়েছে। তবে বাংলাদেশ বিরোধী কোনো বিক্ষোভ হয়েছে কিনা সে বিষয়ে আমার কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।

কর্মসূচি চলাকালে সীমান্তে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, বেনাপোল-পেট্রাপোল আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা দুই দেশের বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যাতে সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে।