চট্টগ্রামে আলোচিত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার নির্ধারিত ধার্য তারিখে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালত এই মামলাটি প্রস্তুত করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন এই মামলার বিচার কোনো আদালতে শুরু হবে। তবে আলিফের পরিবার ও আইনজীবীরা এই মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন সরকারের কাছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পিপি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় সেটি বিচারক আদালতে পাঠিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এখন মহানগর দায়রা জজ আদালত নিজে অথবা তিনি যে আদালতে নির্ধারণ করে দেবেন সেখানে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
মঙ্গলবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী আলিফের বাবা তথা এই মামলার বাদী জামাল উদ্দিন।
সহকারী পিপি রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের লক্ষ্যে অবিলম্বে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। এ জন্য আলিফের পরিবারও আইনজীবীদেরও দাবি আছে। কিন্তু এর পরও মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশনা না আসায় সংশ্লিষ্টরা হতাশ।
২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তাকে কারাগারে নেওয়ার পথ প্রিজন ভ্যান ঘিরে আটকে দেন সনাতনীরা।
এতে বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে আদালত ভবনের নিচে মেথরপট্টির গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ২৯ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছিলেন নিহত আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন।
তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান মোট চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীসহ ৩৯ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জাশিট দেন। এর মধ্যে ১৭ আসামি এখনো পলাতক।