Image description

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে বেশ কিছু বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে টেলিভিশন টকশো ও নির্বাচনি সংলাপে কোনো ধরনের কটূক্তি, হেয়প্রতিপন্ন বা ব্যক্তিগত আক্রমণমূলক বক্তব্য প্রচার না করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে নির্বাচনি অনুষ্ঠান প্রচারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন সময়ে ১৭৫ থেকে ২০০ পর্যবেক্ষক আসতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ। গতকাল নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

সচিব জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে টেলিভিশন টকশো ও নির্বাচনি সংলাপে কোনো ধরনের কটূক্তিমূলক, হেয়প্রতিপন্ন বা ব্যক্তিগত আক্রমণমূলক বক্তব্য প্রচার না করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে নির্বাচনি অনুষ্ঠান প্রচারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এরই মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এদিকে গতকাল ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিকের স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সাক্ষাৎকার, টকশো বা নির্বাচনি সংলাপ পরিবেশনের সময় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর প্রতি সমান সুযোগ প্রদানের বিষয়টি লক্ষ রাখা প্রয়োজন।

১৭৫ থেকে ২০০ জনের মতো পর্যবেক্ষক আসতে পারেন : বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনি পর্যবেক্ষণ মিশনের প্রধান হলেন ইভার্স ইইয়াবস। সচিব জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি প্রশাসনিক চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এ চুক্তির আলোকে ইইউ একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে পাঠাবে। এখন পর্যন্ত ডেলিগেশন প্রধানের নাম জানানো হয়েছে। আমাদের ধারণা দেওয়া হয়েছে যে, ১৭৫ থেকে ২০০ জনের মতো পর্যবেক্ষক আসতে পারেন। তবে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা এবং তাদের বিস্তারিত শিডিউল পরবর্তীতে জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সচিব জানান, ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় পর্যবেক্ষক দলকে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সুবিধা দেওয়া হবে। বিশেষ করে তাদের যাতায়াত ও চলাফেরায় কমিশন সহযোগিতা করবে। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে (যেমন : পার্বত্য চট্টগ্রাম) স্থানীয় নিরাপত্তা প্রটোকল কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

নিরাপত্তা বিষয়ে প্রাধান্য : প্রার্থীদের অস্ত্রের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইসি সচিব জানান, নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো আলোচনা হয়নি। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিরাপত্তার বিষয়টা বিবেচনা করে যেটা ভালো মনে করেছেন এবং নিশ্চয়ই সবাই একমত যে নিরাপত্তার বিষয়টা প্রাধান্য পাক। প্রয়োজনে নির্বাচন আচরণবিধি সংশোধন, সংযোজন বা বিয়োজন করা হতে পারে বলেও জানান তিনি। রাজনৈতিকভাবে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি এবং নির্বাচনের প্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার এবং রিটেইনার (গানম্যান) নিয়োগের সুযোগ দিতে নীতিমালা জারি করে সরকার।