Image description

আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারি একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে প্রার্থীদের অস্ত্র রাখার বিষয়ে প্রয়োজনে আচরণবিধি সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদিকে এই দুই ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষকের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। প্রতিনিধিদলের প্রধান ইইউ পার্লামেন্ট সদস্য আইভার্স ইজাপস। এর জন্য ইসি, ইইউ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি। গতকাল বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব আখতার আহমেদ এসব তথ্য জানান। তবে ইইউ এর এই প্রতিনিধিদলে বাকি কারা থাকছেন, তাদের সংখ্যা কতো, তাদের সঙ্গে পরবর্তীতে কেউ যোগ দেবেন কিনা এই সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেননি ইসি সচিব।

আখতার আহমেদ বলেন, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যারেঞ্জমেন্ট বিটুইন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, আমাদের মিনিস্ট্রি অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স এবং ইলেকশন কমিশনের মধ্যে একটা চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে এবং তার আলোকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আমাদের কাছে নির্বাচনে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য একটা ডেলিগেশন পাঠাবে।

তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত ডেলিগেশনের শুধুমাত্র লিডার অব দ্য ডেলিগেশনের নামটা পেয়েছি। ওনার নাম হচ্ছে আইভার্স ইজাপস উনি মেম্বার অফ ইইউ পার্লামেন্ট। আর শুধুমাত্র এই নামটাই পেয়েছি। বাকি যে শিডিউল ওটা পরবর্তীতে জানাবেন। ইসি সচিব বলেন,  আনুমানিক ধারণা দেয়া হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জনের মতন আসবেন। এখন কে আগে আসবেন? তাদের সংখ্যা কতো? তারা কি কি দেখবেন? তাদের সঙ্গে পরবর্তীতে কেউ জয়েন করবেন কিনা এ সম্পর্কে কোনো প্রস্তাবনা এখনো পর্যন্ত জানি না। সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সমপ্রতি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি দেয়া হবে। যারা অস্ত্র জমা দিয়েছেন তাদের অস্ত্রও ফেরত দেয়া হবে। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে একটি নীতিমালাও জারি করা হয়। 

বিষয়টি নিয়ে ইসি’র অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এটা বলেছেন। এটা আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করতে হবে, নিরাপত্তার সবক্ষেত্রে এটা কি খুব একটা গ্রহণযোগ্য কথা। অন্যরা (স্বরাষ্ট্র) এটা ভালো মনে করেছেন এবং এখানে আমরা সবাই নিশ্চয়ই একমত যে, নিরাপত্তার বিষয়টা প্রাধান্য পাক।

আখতার আহমেদ আরও বলেন, এই অনুমতির সঙ্গে আচরণবিধির আপাতত কোনো বিরোধ দেখছি না। যদি মনে করা হয়, ওভার দ্য পিরিয়ড অফ টাইম, আচরণবিধির কোনো জায়গার সামান্য সংশোধন বা সংযোজন বা বিয়োজন বা এডজাস্টমেন্ট লাগবে, এটা করবো আমরা।

ভোটের আগে বৈধ অস্ত্র জমা নেয়ার বিধির কথা তুলে ধরলে ইসি সচিব বলেন, এটা তো সময়ের ব্যাপার। এটা কি করা হবে না, হবে এগুলো সময়ের সঙ্গে আসবে। বৈধ অস্ত্র জমা নেয়ার বিষয়টা যখন প্রাসঙ্গিক হবে তখন যদি মনে করা হয় যে, এই জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টা বিবেচনায় নিবেন সে অনুযায়ী এটার ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৈধ অস্ত্রের অনুমোদন নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত কি সম্ভব হবে- জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, এটা আপনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্নটা করলে বোধহয় আমার জন্য ভালো হয়। কারণ এখতিয়ার আমার না। উনি নিশ্চয়ই কোনো একটা প্রেক্ষাপটে বলেছেন। আমার সঙ্গে যেহেতু ওনার এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি তাই আমি এর ব্যাখ্যাটা দিতে গেলে অপব্যাখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।