দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা একটি মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাসসহ ৭ আসামি।
সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এক রায়ে তাদের খালাস প্রদান করেন।
মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুদক এ মামলা দায়ের করলেও রায়ে আদালত উল্লেখ করেছেন, ‘মামলায় মানি লন্ডারিংয়ের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
এ রায়ের মধ্যদিয়ে দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর হয়রানি থেকে মুক্ত হলেন এই বিএনপি নেতা। যদিও বিনাবিচারে এরই মধ্যে ৪ বছর ৯ মাস কারাভোগ করতে হয়।
আলী আব্বাসের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফৌজুল আমিন চৌধুরী বলেন, মানিলন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় আমার মক্কেল আলী আব্বাস, ইউসিবিএল ব্যাংক খাতুনগঞ্জ ও কৃষি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ৬ কর্মকর্তাসহ ৭ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন। এ মামলার ১০ আসামির মধ্যে অপর তিন আসামি মামলা চলাকালেই মৃত্যুবরণ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১২ সালে চট্টগ্রামে বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে পলোগ্রাউন্ড মাঠে একটি মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশে তার নেতৃত্বে দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে বিপুল লোকসমাগম হয়। এরপরই সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তার পিছু নেয়। একপর্যায়ে মিয়ানমার থেকে তার প্রতিষ্ঠানের নামে আনা চালের তিনটি চালান (৫৫ হাজার, ২৫ হাজার ও ১৭ হাজার মেট্রিক টন) জোরপূর্বক আমদানি মূল্যের প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করতে বাধ্য করে। ৪৪ টাকা দামে আনা চাল তাকে বিক্রি করতে হয় ২১ টাকা কেজি দরে। এতে তিনি ৪৫ কোটি টাকা লোকসান গুনেন।
আলী আব্বাস যুগান্তরকে বলেন, সরকার আমদানির কমমূল্যে চাল বিক্রিতে আমাকে বাধ্য করে। এতে ৪৫ কোটি টাকা লোকসান হয়। এ কারণে ব্যাংকের টাকা আটকে যাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মান্ডিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় গ্রেফতার করে ৪ বছর ৯ মাস জেলে পুরে রাখা হয়। বিনাবিচারেই এই দীর্ঘ সময় আমি জেল খেটেছি। ১২ বছর পর এসে প্রমাণ হয়েছে, হাসিনা সরকার যে মামলা দিয়েছিল তা ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক।
প্রসঙ্গত, আলী আব্বাস চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।