Image description
 

গাজীপুরের শ্রীপুরে গভীর রাতে বনের ভেতর ঘোড়া জবাই করার সময় এক ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। আটক ব্যক্তি নিজেকে কসাই বলে দাবি করেছেন। তাঁর কাছ থেকে ঘোড়ার মাংস জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের উত্তর বেলতলী গ্রামের খন্দকার বাড়ির পাশের বনে এই ঘটনা ঘটে।

আটক মো. রুবেল মিয়া (৪৫) সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার শ্যালবরশ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় ভাড়া থাকেন। তিনি কসাইয়ের কাজ করেন বলে জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘তখন রাত আনুমানিক ৩টা থেকে সাড়ে ৩টা হবে। খন্দকার বাড়ির পাশের বনের ভেতর একটি সীমানা প্রাচীর রয়েছে। সেখান থেকে আলো আসছিল। কয়েক দিন ধরে এলাকায় গরু চুরি হচ্ছে। এ জন্য বনের সীমানা প্রাচীরে গরুচোর রয়েছে বলে সন্দেহ করে আশপাশের মানুষ হইচই শুরু করে। একপর্যায়ে বনের ভেতর থেকে একটি পিকআপ গাড়ি বের হয়ে দ্রুত চলে যায়। কয়েকজন লোকও পালিয়ে যায়। এরপর আশপাশের মানুষ সীমানা প্রাচীরের ভেতর গিয়ে প্রচুর পরিমাণ মাংস দেখতে পায়। পাশেই ছিল দুটি ঘোড়ার মাথা। এর কিছুক্ষণ পর বনের ভেতর লুকিয়ে থাকা একজনকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে তিনি নিজেকে কসাই বলে দাবি করেন। দুটি ঘোড়া জবাইয়ের কথা স্বীকার করেছেন আটক করা কসাই। বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে।

আটক কসাই মো. রুবেল মিয়া বলেন, ‘কয়েকজন লোক আমাকে ৫ হাজার টাকার চুক্তিতে দুটি ঘোড়া জবাই করতে এখানে নিয়ে এসেছে। ঘোড়ার মাংসগুলো জবাই করে পিকআপ ভর্তি করে নিয়ে যায়। কোন জায়গায় সেগুলো বিক্রি করে, এটা বলতে পারব না। ওদের তেমন ভালো করে চিনি না। লোকজনের হইচই শুনে ঘোড়ার মাংস এবং আমাকে ফেলে পালিয়ে গেছে ওরা। আমি চোর না, আমি কসাই।’

স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রুবেল মিয়া কসাই। তাকে আমাদের এলাকায় অনেকেই চেনে। জৈনা মাওনা বাজারসহ আশপাশের বাজারে কসাইখানায় কাজ করে। কিন্তু ঘোড়া জবাই করতে কে তাকে ভাড়া করল, এই বিষয়ে সে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। আমার ধারণা, ঘোড়া জবাই বহুদিন ধরে হচ্ছে। এটার সঠিক তথ্য বের করা দরকার। আসলে এত দিন আমরা আশপাশের বাজার থেকে কিসের মাংস কিনে খাচ্ছি, আল্লাহ তাআলা জানেন।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, খবর পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।