নাটোর সদর থানার একটি চাঞ্চল্যকর চুরির মামলায় নাটোর জেলা কারাগারের এক কারারক্ষীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কারও উদ্ধার করা হয়েছে। সদর থানার মামলা অনুযায়ী ২০ নভেম্বর তদন্ত চলাকালে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার উত্তর চৌকিরপাড় এলাকা থেকে প্রথমে মোঃ মিন্টু ওরফে কালু (৪৫)–কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাজশাহীর এয়ারপোর্ট থানাধীন বায়া বাজার সংলগ্ন বাদশা জুয়েলার্স থেকে চুরি হওয়া দুইটি স্বর্ণের আংটি (ওজন ৪ আনা ৪ রতি) উদ্ধার করা হয়। দোকানের মালিক মোঃ আলমগীর বাদশা (৩৮)–কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এবং দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় চুরিচক্রের সম্পৃক্ততা স্পষ্ট হয়।
তদন্তে বেরিয়ে আসে, গত ১৯ নভেম্বর বিকেল ৫টা ৩৪ মিনিটে নাটোর জেলা কারাগারের কারারক্ষী মোঃ ইউসুফ হোসেন ইমন (২৯), তার সহযোগী মিন্টু ওরফে কালু এবং জসিম চুরি হওয়া আংটিগুলো ঐ জুয়েলার্সে ৩১ হাজার টাকায় বিক্রি করে। মিন্টু ও বাদশার প্রাথমিক জবানবন্দি ও তথ্য বিশ্লেষণে কারারক্ষী ইউসুফ এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
বিষয়টি নাটোর জেল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা নিয়ম মেনে কারারক্ষী ইউসুফকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তাকে হেফাজতে নিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, “নাটোরের মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর। সাম্প্রতিক কয়েকটি চুরির ঘটনায় কারা জড়িত, তা উদঘাটনে জোরালো তদন্ত চলছে।”
পুলিশের তদন্ত দল জানিয়েছে, চুরির ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না—তা যাচাই করতে পরবর্তী তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।