কোনো ধরনের ইতিবাচক প্রাপ্তি ছাড়াই যবনিকার দিকে এগিয়ে চলছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন-২০২৫, যা কপ-৩০ নামে পরিচিত। এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলের বেলেম শহরে। বলা চলে তেমন কোনো প্রাপ্তি ছাড়াই আগামী ২১ নভেম্বর পর্দা নামবে কপ-৩০ এর।
এই বাস্তবতায় ব্রাজিলের বেলেমে অনুষ্ঠিত কপ-৩০ ছিল বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে বহুমাত্রিক ক্ষতি, ক্ষতি-ক্ষতিপূরণ, বন সংরক্ষণ ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপের প্রক্রিয়ার মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছেন জলবায়ুু নিয়ে কাজ করা বিশ্ব নেতারা।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ঘোষণা দিয়ে পৃথিবীর উত্তাপ কমবে না। দরকার তাৎক্ষণিক অর্থ ছাড়। ফসিল জ্বালানির ব্যবহার কমানোর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানে বিনিয়োগ বাড়ানো। এছাড়া পৃথিবীর উত্তাপ কমানো মানবজাতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কপ-৩০ এই পথে কিছু দৃশ্যমান অগ্রগতি এনেছে বিশেষ করে বন সংরক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবা ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বে। তবে প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপ না নিলে লক্ষ্যপূরণ অসম্ভব। বিশ্ব এখন এমন এক পর্যায়ে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে সময়ই সবচেয়ে বড় পুঁজি এবং সেটিই দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।
পৃথিবীর উত্তাপ কমানো এখন নিঃসন্দেহে মানবজাতির সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি। কপ-৩০ কিছু বড় অগ্রগতি এনেছে বিশেষ করে বন সংরক্ষণে বিশাল ফান্ড, স্বাস্থ্য-জলবায়ু সমন্বয়ে ৩০০ মিলিয়ন ডলার এবং কয়েকটি আঞ্চলিক উদ্যোগ। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো- এই ফান্ডগুলো পৃথিবীর মোট প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সীমিত।
জলবায়ু নীতি বিশেজ্ঞকরা বলছেন, সম্মেলনগুলো ঘোষণা দেয়, কিন্তু ধরিত্রীকে বাঁচাতে প্রয়োজন দ্রুত বাস্তবিক সমাধানে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং অর্থায়ন দ্রুত মুক্ত করা।
সম্মেলনে বিশেষেজ্ঞরা বলছেন, কপ-৩০ এখনো প্রমাণ করে পৃথিবীর উত্তাপ কমাতে বিশাল ফান্ড প্রয়োজন, কিন্তু অর্জন এখনো ঘোষণা ও প্রতিশ্রুতির স্তরে আটকে আছে। তবে ইতিবাচক দিক হলো বন সংরক্ষণে বড় অগ্রগতি, স্বাস্থ্য খাতে নজিরবিহীন তহবিল, ৫৩টি দেশের ঐক্যর ও কার্বন বাজারকে সুশৃঙ্খল করার প্রচেষ্টা। এই সম্মেলনের ফলাফল বাস্তবে রূপ নিতে হলে দ্রুত অর্থ ছাড়, সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি এবং ফসিল জ্বালানি কমানোর রাজনৈতিক সদিচ্ছা সবচেয়ে জরুরি।
সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা বলেন, কপ-৩০ এর গৃহীত Baku to Belém Roadmap অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জলবায়ু অভিযোজন, প্রশমন ও ক্ষতি-ক্ষতিপূরণে প্রতি বছর ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার মোবিলাইজ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য। বর্তমানে যে অর্থ প্রবাহ রয়েছে তা মাত্র ৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
কপ-৩০ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা ১৭ নভেম্বর ( সোমবার) জলবায়ু-অর্থায়নের বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
কপ-৩০ প্রেসিডেন্ট আন্ত্রে করেয়া মেকে বাস্তব অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংস্কারের ভেতরে স্থাপন করতে হবে। তিনি বলেন, সরকার, বেসরকারি খাত, একাডেমি ও সিভিল সোসাইটি সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
ইউএনএফসিসিসি নির্বাহী সচিব সাইমন স্টিল বলেছেন, জলবায়ু কার্যক্রমকে মানুষের বাস্তব জীবনের সাথে যুক্ত করতে হবে এবং অর্থায়ন যেন সবার কাছে পৌঁছায় সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
জলবায়ু অর্থের নতুন সংজ্ঞা তৈরির দাবি: বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে ‘অনেক অর্থ উন্নয়ন ঋণকে জলবায়ু তহবিল’ হিসাবে দেখানো হচ্ছে। তাই কোনো অর্থ জলবায়ু অর্থায়ন হিসাবে গণ্য হবে এ বিষয়ে একটি নতুন বৈশ্বিক সংজ্ঞা তৈরির আলোচনা চলছে। সম্মেলনে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে বন সংরক্ষণ ও প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান, স্বাস্থ্য ও জলবায়ুর সমন্বিত ব্যবস্থা, ক্ষতি-ক্ষতিপূরণ ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশের পুনরুদ্ধার এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সবুজ অবকাঠামো খাতকে অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনায় রেখে অর্থ বরাদ্দের দাবি জানানো হয়েছে।
অর্থ সংগ্রহে আশার আলো ও বাস্তবতার ফারাক: এবারের জলবায়ু সম্মেলনে Tropical Forests Forever Facility (TFFF): ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের ঘোষণা করা হয়েছে। এটি COP-এর সবচেয়ে বড় ঘোষণা, যা ট্রপিক্যাল বনের সুরক্ষা ও পুনরুদ্ধারের জন্য স্থাপিত এক নতুন তহবিল। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট হলো- ৫৩টি দেশ এই উদ্যোগের উদ্বোধনী ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে। এটি ভবিষ্যতের বন সংরক্ষণকে বৈশ্বিক অগ্রাধিকার হিসেবে স্থাপিত করে। COP-৩০-এ বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ফান্ড ঘোষণা হলেও তা মূলত প্রতিশ্রুতি পর্যায়েই রয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর দাবি প্রতিশ্রুতির সঙ্গে দ্রুত চুক্তিবদ্ধ তহবিল প্রয়োজন।
জলবায়ু-স্বাস্থ্য সেক্টরে ৩০০ মিলিয়ন ডলার: ফিলান্থপি ও ডেভেলপমেন্ট পার্টনারদের একটি জোট বিশ্বব্যাপী তাপদাহ ও জলবায়ুজনিত রোগ মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছে।
এ তহবিল তাপদাহ সতর্কতা, স্বাস্থ্য অবকাঠামো সবুজায়ন ও সংক্রমণজনিত রোগ মনিটরিং কাজে ব্যয় হবে। ইতোমধ্যে ৪০টির বেশি দেশ নতুন গঠিত Climate-Health Coalition-এ যোগ দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ১৬.৯ মিলিয়ন পাউন্ড ঘোষণা: এফডব্লিউর বন মনিটরিং প্রযুক্তি উন্নয়নে ১৬.৯ মিলিয়ন পাউন্ড নতুন সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য।
এটি অ্যামাজনসহ আফ্রিকা অঞ্চলের বন সংরক্ষণে তথ্য-প্রযুক্তির ভূমিকা বাড়াতে কাজ করবে।
কঙ্গো বেসিন: ২.৫ বিলিয়ন ডলার উদ্যোগ: ফ্রান্স নেতৃত্বাধীন একটি জোট কঙ্গো বেসিন বন রক্ষায় ২.৫ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এটি বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম ট্রপিক্যাল বনের বিশাল কার্বন স্টোরেজ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ।
লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডে চাপ বৃদ্ধি: ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোÑ বাংলাদেশ, ফিজি, কেনিয়া, পাকিস্তান জোরালোভাবে দাবি তুলেছে। তাদের দাবি বছরে অন্তত ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। যদিও নতুন বড় ঘোষণা আসেনি, কিন্তু বিষয়টি আলোচনা জোরালো হয়েছে।
১০ মিলিয়ন হেক্টর বন পুনরুদ্ধারের ঘোষণা: এবারের সম্মেলনে ২০২৭ সালের মধ্যে ব্রাজিল ১০ মিলিয়ন হেক্টর অ্যামাজন বন পুনরুদ্ধার করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এটি হচ্ছে ঈঙচ-৩০ এর সবচেয়ে বড় জাতীয় প্রতিশ্রুতি। তবে প্রকৃত চ্যালেঞ্জ ও প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে ঈঙচ-৩০ থেকে পাওয়া ফান্ড ঘোষণা আশাব্যঞ্জক হলেও বাস্তবে অগ্রগতি ধীর।
তাপমাত্রায় কার্বন নিঃসরনকারী শিল্পোন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সঙ্গে ক্ষতিপূরণ পরিশোধ প্রশ্নে প্রতারণা করেছে। কপ’র প্যারিস ঘোষণা অনুযায়ী তারা প্রতিশ্রুতি পূরণে গড়িমসি করছে। মনে হচ্ছে উন্নত দেশগুলো তাদের ঘোষিত প্রতিশ্রুতির বিষয়টি বিস্মৃত হয়ে গেছে। এ কারণে চলমান বিশ^ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনÑ কপ-৩০ তে অংশ নেয়া স্বল্পোন্নত দেশগুলো উন্নত দেশগুলোকে তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতির কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। আফ্রিকান ও আরব রাষ্ট্রগুলো অভিযোজন অর্থায়নের ব্যবধান নিয়ে গভীর হতাশার কথা জানাচ্ছে।
এতিকে অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ-বিষয়ক উপদেষ্টা ফরিদা আক্তারের ভাষায় ‘এটি উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যকার চলমান এক যুদ্ধ’।
কপ-৩০ সম্মেলন স্থলের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে অনুষ্ঠিত ‘হিট স্ট্রেস ইন ঢাকা: ক্লাইমেট রেজিলিয়ন্সে সলিউশন’ শীর্ষক এক সেমিনারে ফরিদা আক্তার বলেন, বাংলাদেশ ন্যায়সংগত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু কর্মকা- এগিয়ে নেয়ার নেতৃত্ব দিতে পস্তুত। এ সময় তিনি ক্ষয়ক্ষতি, অভিযোজন এবং জলবায়ু অর্থায়নের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের আন্তর্জাতিক কনভেনশন শাখার পরিচালক ও বাংলাদেশের অন্যতম আলোচক মির্জা শওকত আলী বলেন, বিভিন্ন গোষ্ঠীর বিতর্কে মতপার্থক্য ও দ্বন্দ্ব রয়েছে। আমরা অভিযোজন অর্থায়ন তিনগুণ বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছি এবং ক্ষয়-ক্ষতির প্রক্রিয়া জানাতে তহবিল ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি।
সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিপিআরডি) চিফ এক্সিকিউটিভ মো. শামসুদ্দোহা বলেন, অভিযোজন অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা কখনো পূরণ হয়নি। গত বছর কপ-২৯-এ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য ২০২৫ সাল থেকে বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার সংগ্রহের প্রস্তাব থাকলেও তা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। যদিও ২০৩৫ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু যদি কপ-৩০-এ প্রতিশ্রুত অর্থায়নের জন্য একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ ও স্বচ্ছ প্রতিবেদন ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে সেটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
আফ্রিকান গ্রুপ ও এলএমডিসি (সমমনা উন্নয়নশীল দেশগুলো) উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে স্পষ্ট ও পরিমাপযোগ্য প্রতিশ্রুতি দাবি করেছে। তারা বলেছে, বিদ্যমান প্রতিশ্রুকি অপর্যাপ্ত এবং এখনো পূরণ হয়নি।
ল্যাটিন আমেরিকান জোট ‘এআইএলএসি’ বলছে, জলবায়ু সহযোগিতা সদিচ্ছার নয়, এটি একটি আইনি বাধ্যবাধকতা। এই অঞ্চলের প্রতিনিধিরা ধনী দেশগুলোর প্রতি বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য পূর্বাভাসযোগ্য ও জবাবদিহিমূলক অর্থায়নের আহ্বান জানাচ্ছেন এ সম্মেলনে। তারা বলেছে, লিঙ্গ সমতা, সম্মুখসারির জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজনের সমর্থনে প্রতিষ্ঠিত অভিযোজন তহবিল এখনো অত্যন্ত অপ্রতুল।
আফ্রিকান গ্রুপ এবং অ্যালায়েন্স অব স্মল আইল্যান্ড স্টেটস দুর্বল দেশগুলোর জন্য সরাসরি তহবিল প্রবেশাধিকারের এবং স্বীকৃত জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পারস্পরিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে। আফ্রিকান ও আরব রাষ্ট্রগুলো অভিযোজন অর্থায়নের ব্যবধান নিয়ে গভীর হতাশার কথা জানিয়েছে।
এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং সুইজারল্যান্ড তাদের আর্থিক অবদান বাড়ানোর আগে আরো শক্তিশালী স্বচ্ছতা ও আর্থিক নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে আসছে।
এদিকে কপ-৩০ তে যোগ দেয়া পরিবেশ গবেষক ও নেতৃবৃন্দের মতে, ২০২৫ হচ্ছে উষ্ণতম বছর। জলবায়ু পরিবর্তনই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ।
গত ১২ মাসের হিসেবও খুব একটা আশাব্যাঞ্জক নয়। ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সালের তুলনায় গত এক বছরে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা এক দশমিক ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (দুই দশমিক ৭৮ ফারেনহাইট) বেশি ছিল। এর আগে এতটা ব্যাপক হারে ফসিল ফুয়েল বা জীবাশ্ম থেকে তৈরি জ্বালানির ব্যবহার ছিল না। বর্তমান তাপমাত্রা ২০২৪ এর রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গেছে।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুসারে সরকারগুলি বিশ্বের উষ্ণায়নকে শিল্পযুগের আগের পর্যায়ের তুলনায় দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখার অঙ্গীকার করেছিল। একইসঙ্গে তারা উষ্ণায়নের মাত্রাকে এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রির নিচে রাখতে চেষ্টা চালাবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
উষ্ণায়নের গড় তাপমাত্রা দশক ধরে মাপা হয়। ডব্লিউএমও’র বার্ষিক রিপোর্টে প্যারিসের লক্ষ্যমাত্রা না ছাড়ালেও উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।