জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শিগগিরই এ রায়ের কপি জেলা প্রশাসকসহ কয়েকটি দপ্তরে পাঠানো হবে বলে সাংবাদিকের জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম।
এছাড়া ইন্টারপোলে পূর্বে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার বদলে কনভিকশন ওয়ারেন্ট বা সাজার পরোয়ানা মূলে তার বিরুদ্ধে আরেকটি ইন্টারপোলে নোটিশ জারির জন্য আবেদন করা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলে আবেদনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘গতকাল পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় প্রদান করেছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের শেষ প্যারাতেই উল্লেখ আছে যে, এই রায়ের একটি সার্টিফাইড কপি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন পাবে এবং একটি সার্টিফাইড কপি এই মামলায় যে আসামি উপস্থিত ছিলেন তিনি পাবেন। যে আসামিরা পলাতক আছেন তারা যদি ৩০ দিনের মধ্যে সারেন্ডার করেন অথবা গ্রেফতার হন তাহলে তারাও এই রায়ের একটি সার্টিফাইড কপি পাবেন ফ্রি অব কস্ট (বিনামূল্যে)।’
‘আরেকটি কথা ট্রাইব্যুনাল বলে দিয়েছেন সেটা হলো—এই রায়ের আরেকটি কপি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে, মানে ঢাকার জেলা প্রশাসক যিনি এজ ওয়েল এজ ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, উনার কাছে ফর কমপ্লায়েন্স এর জন্য যাবে এটার কার্যকারিতার জন্য। এটাই হলো রায়, বলা আছে এবং এটাই হবে’-যোগ করেন তিনি।
প্রসিকিউটর তামিম আরও বলেন, ‘আমরা যেটা করব সেটা হলো—যে দুজন আসামি পলাতক আছেন, তাদের বিরুদ্ধে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কপিসহ রেড নোটিশ জারির আবেদন করা আছে আমাদের আগেই। সেটাকে এখন মডিফাই করে গ্রেফতারি পরোয়ানার বদলে একটা কনভিকশন ওয়ারেন্ট—এই কনভিকশন ওয়ারেন্ট বা সাজার পরোয়ানা মূলে আমরা তার বিরুদ্ধে আরেকটি ইন্টারপোলে নোটিস জারির জন্য আবেদন করব। এটা আমরা করব এবং এটার কাজ অলরেডি আমরা শুরু করেছি।’
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখনো তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।