Image description
মানবজমিনকে ইসলামী ব্যাংকের এমডি

দেশের শীর্ষস্থানীয় শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. ওমর ফারুক খান। ১৯৮৬ সালে শরিয়াহভিত্তিক এ ব্যাংকটিতে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। ব্যাংক খাতে তার রয়েছে দীর্ঘ ৩৭ বছরের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা। সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকের সেবার মান উন্নয়নে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী এবং খেলাপি বিনিয়োগ (ঋণ) মোকাবিলায় তাদের কৌশল সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন মানবজমিনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার এমএম মাসুদ। 

প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী ব্যাংকের আমানত ও বিনিয়োগের পরিমাণ নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ ছিল। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপনারা কী কৌশল অবলম্বন করেন? 

মো. ওমর ফারুক খাঁন: সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী ব্যাংকের আমানত ও বিনিয়োগের পরিমাণ নিয়ে কিছু গ্রাহকের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। তবে আমরা অত্যন্ত দক্ষতা ও পরিকল্পিত পদক্ষেপের মাধ্যমে সেই পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করেছি। প্রথমেই বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও শীর্ষ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনে। পাশাপাশি অনিয়মে জড়িত ব্যক্তিদের অপসারণের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করা হয়। প্রতিটি শাখায় পর্যাপ্ত নগদ অর্থ সরবরাহ রাখা হয়। ফলে কোনো গ্রাহক কখনো শাখায় এসে টাকা না পেয়ে ফিরে যাননি। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রাহকদের কাছে ব্যাংকের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করেছেন। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তাদের অর্থ নিরাপদ এবং ব্যাংক সম্পূর্ণ সক্ষম অবস্থায় রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গুজবের মোকাবিলা করা হয়। প্রবাসী গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখতে তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে ব্যাংকের অগ্রগতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। তাদের আস্থার কারণে এ বছর আমরা বছরের শুরু থেকে এই পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা সংগ্রহ ও বিতরণ করেছি। করপোরেট ফান্ড ধরে রাখার জন্য ক্লিয়ারিংসহ সব আন্তঃব্যাংক লেনদেন সেবা শতভাগ সচল রাখা হয়েছে, যাতে ব্যবসায়ী গ্রাহকরা কোনো ধরনের বিঘ্ন অনুভব না করেন। এই সব কৌশলগত উদ্যোগের সুফল খুব দ্রুতই এসেছে। গ্রাহকদের আস্থা ফিরে এসেছে এবং ব্যাংকে নতুন করে ৩২ লাখ নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। বিগত ১০ মাসে আমাদের নতুন ১৯ হাজার কোটি টাকার আমানত বেড়ে মোট আমানতের স্থিতি দাঁড়ায় ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বলা যায়, যে সাময়িক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল, তা এখন কেটে গেছে এবং ইসলামী ব্যাংক পুনরায় আস্থাশীল ও শক্তিশালী অবস্থায় এগিয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতের দিকে।

প্রশ্ন: ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণ এবং তা নিয়ন্ত্রণ ও আদায়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
মো. ওমর ফারুক খাঁন: ব্যাংকের খেলাপি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে মূলত অতীতের অনিয়ম, দুর্বল বিনিয়োগ অনুমোদন ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত তদারকির অভাবে। তবে আমরা ইতিমধ্যে খেলাপি বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণ ও আদায়ে একটি শক্তিশালী কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। যেমন; বিনিয়োগ অনুমোদন ও তদারকিতে কঠোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং অতীতে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগসমূহের ওপর বিশেষ নজরদারি এবং খেলাপি বিনিয়োগ আদায়ে বিশেষ উইং গঠন করা হয়েছে। কার্যকর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দিতে পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন সুবিধা দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও অভ্যন্তরীণ অডিটকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে সঠিক মূল্যায়ন ছাড়া কোনো বিনিয়োগ অনুমোদন না হয়। আমরা বিশ্বাস করি, গ্রাহকদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ, সহযোগিতা ও আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খেলাপি বিনিয়োগ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং ব্যাংকের সম্পদের গুণমান আরও উন্নত হবে।

প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ব্যাংকে ঋণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আপনাদের ব্যাংকে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কী ধরনের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে?

মো. ওমর ফারুক খাঁন: দেশের কিছু ব্যাংকে ঋণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তবে ইসলামী ব্যাংক এ বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ। আমরা বিশ্বাস করি সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতাই একটি ব্যাংকের স্থিতিশীলতার মূল শক্তি। তাই আমরা বিনিয়োগ অনুমোদনের প্রতিটি ধাপে একাধিক স্তরের যাচাই-বাছাই পদ্ধতি অনুসরণ করছি। শাখা পর্যায়ে প্রাথমিক মূল্যায়নের পর তা আঞ্চলিক কার্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে। গ্রাহকের আর্থিক সক্ষমতা, জামানতের মান, পূর্ব লেনদেন ইতিহাস এবং ব্যবসার বাস্তবতা সবকিছুই দৃঢ়ভাবে যাচাই করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি তথ্যের পাশাপাশি ব্যবসায়িক সমিতি থেকেও গ্রাহকের নৈতিক ও আর্থিক আচরণের মূল্যায়ন করা হয়। এভাবে মূলধন পর্যাপ্ততা ও ঝুঁকি সক্ষমতা বিবেচনায় বিনিয়োগ অনুমোদন দেয়া হয়। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ অডিট, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও কমপ্লায়েন্স ইউনিট নিয়মিত তদারকি করে এবং কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। দুর্নীতি বা অপব্যবহারের ক্ষেত্রে শূন্য সহনশীলতা নীতি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। 

প্রশ্ন: দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করা হচ্ছে, এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের অবস্থান কী?
মো. ওমর ফারুক খাঁন: সরকারের দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার পরিকল্পনাকে আমরা অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে দেখি। দেশের ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা ও গ্রাহক আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য এটি একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। ইসলামী ব্যাংক দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক, তাই দায়িত্বশীল অংশীদার হিসেবে আমরা এ ধরনের একীভূতকরণের প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানাই। 

প্রশ্ন: বর্তমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে ইসলামী ব্যাংক কীভাবে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা করছে?
মো. ওমর ফারুক খাঁন: বর্তমান চ্যালেঞ্জিং ব্যাংকিং পরিবেশে আমরা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা, তারল্য সংকট এবং খেলাপি বিনিয়োগের চাপের মধ্যেও আমরা একটি সমন্বিত ও আধুনিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কাঠামো প্রয়োগ করছি। নতুন বিনিয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট খাতে বিনিয়োগের ঝুঁকি ও বিদ্যমান বিনিয়োগসমূহ নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আগাম ঝুঁকি শনাক্ত করা হচ্ছে। তারল্য ও বাজার ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় আমাদের শক্তিশালী ট্রেজারি সিস্টেম কাজ করছে। এর মাধ্যমে নগদ প্রবাহ ও বাজার পরিবর্তন নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। প্রযুক্তিগত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ আইটি অফিসারদের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। শরিয়াহ সুপারভাইজরি বোর্ডের তত্ত্বাবধানে শরিয়াহ প্রতিপালন নিশ্চিত করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, আমরা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় একটি স্থিতিশীল, সুশৃঙ্খল ও দায়িত্বশীল অবস্থান গড়ে তুলছি যাতে গ্রাহক আস্থা ও ব্যাংকের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা যায়। 

প্রশ্ন: সম্প্রতি পদত্যাগী এমডির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
মো. ওমর ফারুক খাঁন: এই অভিযোগ আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ইসলামী ব্যাংক সর্বদা স্বচ্ছতা, নৈতিকতা এবং সুশাসনের নীতিতে পরিচালিত হয়। তাই সর্বোচ্চ পর্যায়েও যদি কোনো অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, সেটিকে কখনোই উপেক্ষা করা হয় না। ইতিমধ্যে নিরপেক্ষ তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে, যাতে সত্য উদ্‌ঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যায়। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতা আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। 

প্রশ্ন: ডিজিটাল ব্যাংকিং এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? 
মো. ওমর ফারুক খাঁন: বর্তমানে ৫৭ লাখ গ্রাহক আমাদের সেলফিন ব্যবহার করছেন। সেলফিনকে আরও আধুনিক ও বহুমুখী সেবা সংযোজিত করে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ওয়েব বেইজড রেমিট্যান্সের পিন ব্যবহার করে এমক্যাশে রেমিট্যান্স সংগ্রহের ব্যবস্থা করেছি। এমক্যাশ থেকে অন্যান্য এমএফএস ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফান্ড ট্রান্সফার সুবিধা চালু করেছি। আমাদের লক্ষ্য গ্রাহকদের হাতে এমন ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দেয়া, যাতে তারা শাখায় না গিয়েও লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেন। যেমন চ্যাটবটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংযোজন ও উন্নত সাইবার সিকিউরিটির মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবাকে আরও শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া চলমান। শিগগিরই শুধু ডিজিটাল প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে ঘরে বসেই অ্যাকাউন্ট খোলা, বিনিয়োগের কিস্তি আদায় ও বিনিয়োগ আবেদন প্রক্রিয়া চালু করতে যাচ্ছি। সার্বিকভাবে, ইসলামী ব্যাংক একটি উদ্ভাবনী, ক্যাশলেস এবং গ্রাহককেন্দ্রিক ডিজিটাল ব্যাংকিং ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

প্রশ্ন: আপনার নেতৃত্বে আগামীতে ইসলামী ব্যাংককে কোন পর্যায়ে দেখতে চান এবং সেই লক্ষ্য অর্জনে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখতে পাচ্ছেন?
মো. ওমর ফারুক খাঁন: আমাদের লক্ষ্য ইসলামী ব্যাংককে একটি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা, যেখানে গ্রাহকরা সর্বোচ্চ আস্থা, স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তার সঙ্গে সেবা পাবেন। আমরা চাই ব্যাংকটি দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, ডিজিটাল রূপান্তর ও নৈতিক ব্যাংকিংয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক এবং আন্তর্জাতিকভাবে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের মডেল হিসেবে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করুক। 

প্রশ্ন: সম্প্রতি আপনার ব্যাংকে কর্মী ছাঁটাই নিয়ে একটা আলোচনা চলছে। গণছাঁটাইয়ের পর কর্মীশূন্যতা কীভাবে পূরণ করছেন? 
মো. ওমর ফারুক খাঁন: ২০১৭ সাল থেকে ব্যাংকে প্রায় ১১ হাজারের মতো কর্মকর্তা-কর্মচারী যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ না করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি আমরা তাদের একটি অংশের পেশাগত সক্ষমতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে কমপিটেন্সি মূল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজন করেছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অধিকাংশ কর্মী এই পরীক্ষায় অংশ নেননি। ফলে প্রাথমিকভাবে তাদের ওএসডি করা হয়। এ সময়ে তারা কর্মবিরতি করে রাস্তায় বিক্ষোভসহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। এভাবে তারা ব্যাংকের শৃঙ্খলা নষ্ট করে। সে বিবেচনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রতিষ্ঠানের বিধি অনুযায়ী অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা কৃতকার্য হয়েছেন তারা যথানিয়মে কর্মরত আছেন। আর যারা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছিলেন তাদেরকে বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কর্মী ঘাটতি পূরণের জন্য আমরা ইতিমধ্যে তিনটি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। খুব শিগগিরই নতুন কর্মীরা যোগ দিলে ব্যাংকের সাময়িক কর্মী সংকট দূর হবে এবং কার্যক্রম আগের চেয়েও অধিক দক্ষতা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে পরিচালিত হবে।