পারস্য উপসাগরে ‘রহস্যজনক’ ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরান। ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর প্রথমবারের মতো ট্যাংকার জব্দের ঘটনা এটি। ট্যাংকারটিতে অনুমোদনহীন কার্গো পরিবহনের অভিযোগ করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) পারস্য উপসাগরের জলসীমায় সিঙ্গাপুরগামী পেট্রোকেমিক্যাল কার্গোবাহী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে। শনিবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর এক দিন আগে মার্কিন কর্মকর্তা ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছিল, ইরানি বাহিনী ওই তেলবাহী ট্যাংকারটিকে থামিয়ে ইরানের আঞ্চলিক জলে সরিয়ে নিয়েছে। জুন মাসে ইসরায়েল-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিরোধী হামলার পর এটাই প্রথম ট্যাংকার জব্দের ঘটনা।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে আইআরজিসি এক বিবৃতিতে জানায়, ট্যাংকারটি অনুমোদনহীন কার্গো বহনের কারণে বিধি লঙ্ঘন করেছে। তবে লঙ্ঘনের প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
সামুদ্রিক সূত্র জানিয়েছে, ‘তালারা’ নামের মার্শাল আইল্যান্ডস-ফ্ল্যাগযুক্ত ট্যাংকারটি আরব আমিরাতের উপকূলের কাছে চলাচল করছিল। এটি শারজাহ থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পথে উচ্চ সালফারযুক্ত গ্যাস অয়েল বহন করছিল।
জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কলম্বিয়া শিপ ম্যানেজমেন্ট জানায়, শুক্রবার সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের খোরফাক্কান উপকূল থেকে প্রায় ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থানকালে তারা ট্যাংকারটির সঙ্গে যোগাযোগ হারায়। প্রতিষ্ঠানটি নিরাপত্তা সংস্থা ও জাহাজের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে। জাহাজটির মালিকানায় রয়েছে সাইপ্রাসভিত্তিক পাসা ফাইন্যান্স।
মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত এবং নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের আইআরজিসি উপসাগরীয় অঞ্চলে বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ জব্দ করেছে। সাধারণত চোরাচালান, প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা অন্যান্য আইনি অভিযোগ তুলে এসব জব্দ করা হয়েছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এমন অভিযান না হওয়ায় এই ঘটনাটি ‘অপ্রত্যাশিত।’
এর আগে ইসরায়েলের ১২ দিনের জুন মাসের বিমান হামলার পর ইরান অঞ্চলে তাদের সামরিক কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছিল। গত ২০২৪ সালের এপ্রিলে সর্বশেষ জাহাজ জব্দ করেছিল ইরান।