Image description

বরগুনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে থেকে সীমান্ত দাস নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

 
 

 

এর আগে সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বরগুনা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সংলগ্ন সার্কিট হাউজ পুকুরপাড় থেকে ওই যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সীমান্ত দাস বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামের বিজন দাসের ছেলে। তিনি একটি গাছের সঙ্গে নাইলনের দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার গভীর রাতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে একটি গাছে সীমান্তের মরদেহ ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করলে তার সৎকার সম্পন্ন করে পরিবার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মরদেহ উদ্ধারের আগে রাত ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাশে গোলচত্বরে চিৎকার চেঁচামেচি করতে দেখা যায় সীমান্তকে। কেউ একজন তাকে মেরেছে এমনটা বলতে শোনা যায়। কিন্তু স্থানীয়রা তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন ভেবে বিষয়টি এড়িয়ে যান। সীমান্ত মাদকাসক্ত ছিলেন এবং পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না বলেও জানা যায়।

সীমান্তের ভাই বলেন, আমার ভাই হয়তো আত্মহত্যা করেছে। তবে পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল না, একথা সত্য নয়।  

এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল মামুন শিকদার বলেন, প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই যুবক মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি সব সময় হতাশাগ্রস্ত থাকতেন বলে জানা গেছে। এমনকি পরিবারের সঙ্গেও তার তেমন যোগাযোগ ছিল না। তবুও কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।