Image description
 

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড ও সম্প্রতি কয়েক জায়গায় আগুন লাগার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসলামি স্কলার মিজানুর রহমান আজহারি।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত ৯টা ১ মিনিটে এ-সংক্রান্ত পোস্ট দিয়েছেন তিনি।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, এ দেশে অগ্নিকাণ্ড যেন এক অবিরাম চক্র— দু-একদিন প্রতিবাদ, মানববন্ধন, মিছিল, গরম টকশো। তারপর আবার সবকিছু নিস্তব্ধ। ঠিক আগের মতোই! অগ্নিকাণ্ডের পর শোক, তারপর সেই চিরচেনা নীরবতা! এগুলো কি নিছক দুর্ঘটনা? কেবল-ই অবহেলা আর অব‍্যবস্থাপনা? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র? প্রথমে মিরপুর, তারপর চট্টগ্রাম ইপিজেড, আজ আবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে। আগুন যেন পিছু ছাড়ছে না। এ দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে কি?

 

তিনি আরও লিখেছেন, প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের রহস্য খুঁজে বের করার সময় এখনই! সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নিরপেক্ষ তদন্ত করুন। খতিয়ে দেখুন। যথাযথ ব্যবস্থা নিন।

 

এ ছাড়া কমেন্টে তিনি লিখেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা ঘটছে, যা আমাদের জন্য এক অশনিসংকেত। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে সারা দেশের বিভিন্ন শিল্প-কারখানা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, বাণিজ্যিক কেন্দ্রে আগুনের লেলিহান শিখা বারবার আঘাত হানছে। এসব ঘটনায় একদিকে যেমন মূল্যবান প্রাণহানি হচ্ছে, তেমনি অপরদিকে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো এবং সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

 

আজহারি লিখেছেন, হ্যাঁ, এটি সত্য; ​অপরিকল্পিত নগরায়ণ, অপ্রতুল অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা, দাহ্য পদার্থের অবৈধ মজুত, ত্রুটিপূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগ, গ্যাস লিকেজ এবং জনসচেতনতার অভাব; এই সবকিছুই মোটাদাগে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। তবে, এভাবে একের পর এক সিরিয়াল অগ্নিকাণ্ড ঘটানোর মাধ্যমে স্থিতিশীল দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এটি কোনো হীন ষড়যন্ত্রের অংশ কি না সেটিও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

তিনি আরও লিখেছেন, ​হে আল্লাহ, আপনি আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকে সব ধরনের বালা-মুসিবত, বিশেষ করে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্যোগ থেকে হেফাজত করুন। আমাদের ধৈর্য ধারণ করার এবং এই বিপদ কাটিয়ে উঠে ঘুরে দাঁড়ানোর তাওফিক দিন।