Image description
 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও রংপুর-২ (তারাগঞ্জ–বদরগঞ্জ) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, দীর্ঘদিনের দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং বৈষম্যমূলক শাসনের ফলে আজ বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে পড়েছে। অথচ ইসলামী অর্থনীতি চালু করা গেলে এই দেশ আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

 

শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার সময় তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর বেলতলী মেডিকেল মোড়ে এক পথসভায় অংশ নেন।

উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভাস্থলে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

 

এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, যাকাতভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করা গেলে দেশে দারিদ্র্য থাকবে না, দেশ হবে স্বনির্ভর।

 

ইসলামী রাষ্ট্রে যাকাত ব্যবস্থাই পারে ধনী-গরিবের বৈষম্য ঘোচাতে এবং টেকসই অর্থনৈতিক ভারসাম্য আনতে।

জনসভায় জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, আজ মানুষ বিদেশে শ্রম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে, অথচ দেশে সৃষ্ট সম্পদ কিছু সংখ্যক গোষ্ঠীর হাতে কেন্দ্রীভূত। ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্রে ন্যায়, ইনসাফ ও মানবিক মূল্যবোধ নিশ্চিত হবে। তখন আর বিদেশে যেতে হবে না, দেশের ভেতরেই সবার জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি আরও বলেন, যাকাতভিত্তিক রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি শুধু ধর্মীয় দায়িত্ব নয়, এটি হচ্ছে দারিদ্র্য দূরীকরণের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্রের বাজেট থেকে সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন হবে। ফলে প্রতিটি মানুষ সম্মানজনক জীবনের অধিকার পাবে।

বক্তব্যে এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তারা উন্নয়নের নামে বিদেশে টাকা পাচার করেছে, নিজেদের স্বার্থে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করেছে। এর ফলেই আজ দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। ব্যাংকিং খাত দুর্বল, বাজার অস্থিতিশীল, কৃষক ন্যায্যমূল্য পায় না। জামায়াতের কোনো নেতা কখনও দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন না। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা দায়িত্ব পালনকালে এক টাকাও আত্মসাৎ করেননি। বরং আমরা ন্যায়, ইনসাফ ও জবাবদিহিতার রাজনীতি করি। তাই এই দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে জামায়াতকে বিজয়ী করতেই হবে।

নিজের বক্তব্যের শেষাংশে তিনি বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.)-এর আদর্শে দেশ পরিচালনাই একমাত্র সমাধান। এ পথেই মুক্তি, শান্তি ও সমৃদ্ধি নিহিত। জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিন। এই ভোট হবে ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এস. এম. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বদরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত নায়েবে আমির শাহ মুহাম্মদ রুস্তম আলী, ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, “যাকাত, ইনসাফ ও জবাবদিহিতার সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা এমন একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই যেখানে কেউ অবহেলিত থাকবে না।” এজন্য তিনি দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দিয়ে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।