
মহেশপুরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে একমাত্র প্রতিষ্ঠান শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ। নামের কারণে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরে সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে কলেজটি। এ সময়কালে একাধিকবার নাম পরিবর্তনের চেষ্টাও করা হয়েছে। সব বাধা পেরিয়ে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উপজেলার ৯টি কলেজের মধ্যে ফলাফলে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ।
এ বছর কলেজ থেকে ৭০ জন পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৫৪ জন উন্নীত হয়েছেন। কলেজের পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৭৯.৪১%। এছাড়া পৌর মহিলা কলেজের পাশের হার ৬৩%, সামছুল হুদা খাঁন কলেজ ৬০%, কাঠগড়া কলেজ ৫০%, যাদবপুর ডিগ্রি কলেজ ৪৫%, মহেশপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ ৪৮%, পদ্মপুকুর ডিগ্রি কলেজ ৩৮%, সরকারি বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ডিগ্রি কলেজ ৩৩%, আলফাতুন্নেছা কলেজ ৩০%, সর্বশেষ শহীদুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের পাশের হার ২৯.৩৭%।
শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি করেজের অধ্যক্ষ শওকত আলী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সাফল্যে আনন্দিত হয়েছি। তবে শহীদ জিয়াউর রহমানের নামে কলেজ হওয়ায় ১৬টি বছর নির্যাতিত হয়েছি। সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এখন পর্যন্ত এ সরকারের আমলে তেমন কোনো সুবিধা পায়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ৩টি আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি।
কলেজের বর্তমান গভর্নিং বডির সভাপতি মোমিনুর রহমান বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের নামে কলেজ হওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
বর্তমান উপজেলা প্রশাসনও এ কলেজের সঙ্গে একই ধরনের আচারণ করছে। গত আগস্ট মাসে জেলা পরিষদ থেকে অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কলেজের পক্ষ থেকে ৩টি লিখিত দরখাস্ত ও মৌখিকভাবে একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও নামের কারণে তিনি ওই টাকা এ কলেজে দেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা আক্তার বলেন, আমার জানামতে- তারা গত বছরও অনুদান পেয়েছে, এ বছরও পাচ্ছে। তারা কেন এমন অভিযোগ করল তা আমার জানা নেই।